বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ময়নাগুড়ি শহিদগড় হাইস্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৮০০ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১৯ জন। পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন নয় জন। এছাড়াও ক্লার্ক রয়েছেন একজন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী রয়েছেন দু’জন। তিন তলা বিশিষ্ট এই স্কুলের শৌচাগারগুলি বেহাল হয়ে রয়েছে। মিড-ডে মিলের রান্নাঘরের উপরের চাল ভেঙে গিয়েছে। স্কুলের সিঁড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। বছর খানেক আগে বিডিও অফিসের তত্ত্বাবধানে তৃতীয় তলায় ঘর করা হয়েছে। কিন্তু ওই ঘরে পার্টিশন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাঁরা ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে জানতে পেরেছে ভবনের ভিত দুর্বল রয়েছে। পার্টিশন দেওয়া হলে অতিরিক্ত ভার বহনে সমস্যা হতে পারে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত ভাদুড়ি বলেন, আমাদের এই স্কুল অতি দ্রুত সংষ্কার হওয়া প্রয়োজন। স্কুলের দেওয়াল ধসতে শুরু করেছে। বেশকিছু ঘরে জল পড়ে। ক্লাসরুমগুলির দেওয়াল জুড়ে যেভাবে ফাটল ধরতে শুরু করেছে তাতে যেকোনও সময় বিরাট অঘটন ঘটে যেতে পারে। আমি মৌখিক ভাবে এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত ঘরের অভাব রয়েছে। এর আগে যে ঘর করা হয়েছে তাতে পার্টিশন না থাকায় ক্লাস করানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বর্ষায় জল পড়ে আমাদের ১০টি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্কুলে ক্লাস শুরু হলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আমাদের চলতে হবে। জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে বলেন, শহিদগড় স্কুলের সমস্যার বিষয়টি জানতে পারলাম। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যার বিষয়ে লিখিত দিলে আমি অবশ্যই বিষয়টি দেখব। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি মিড ডে মিলের ঘরের সংস্কার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। স্কুল বিল্ডিং সংষ্কারের বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। ময়নাগুড়ির শহিদগড় হাইস্কুলে দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। নিজস্ব চিত্র