বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সিটি অটো ওনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অবশ্য জানিয়েছে, ওই সময় যাত্রী কম ছিল, তাই অতিরিক্ত পাঁচ টাকা চেয়ে নেওয়া হতো। তবে এখন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা নয়। সদ্য দায়িত্বে আসা শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক প্রিয়দর্শিনী এস বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মোটরযান দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একটি শপিং মলে কাজ করেন শ্যামল পাল। তিনি বলেন, প্রতিদিনই কোর্ট মোড় থেকে কাজের জায়গায় যেতে হয়। আগে সিটি অটোতে ১৫ টাকা ভাড়া ছিল, এখন ২০ টাকা হয়েছে। দিনে বাসে যাওয়ার চেষ্টা করলেও রাতে অটোতেই বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে। যদিও এক সিটি অটো চালক বিক্রম বর্মন বলেন, কাউকে জোর করা হয় না। অধিকাংশ যাত্রীই অতিরিক্ত ভাড়া দেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকদিন বাড়িতে বসেছিলাম। আমরা চাই, প্রশাসন ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি ভেবে দেখুক।
সিটি অটো সংগঠনের সম্পাদক প্রসূন দাশগুপ্ত বলেন, আনলক পর্বের শুরুর দিকে কয়েক মাস কোভিড বিধি মানতে কম যাত্রী তোলা হচ্ছিল। সেই সময় বাড়তি পাঁচ টাকা চেয়ে নিতেন চালকরা। তবে এখনও তা কার্যকরী আছে, জানা নেই। বর্ধিত ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সরকারি কিংবা সংগঠনের নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত টাকা না নেওয়ার জন্য চালকদের বলা হবে। পাশাপাশি যাত্রীদের ন্যায্য ভাড়া দিতে বলব।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে কোভিড প্রোটোকল মেনে গাড়িতে যাত্রী তোলা শুরু হয়। সিটি অটোর পিছনের আসনে ছ’জন বসার জায়গা থাকলেও আনলক পর্বের প্রথমদিকে তিনজন, চারজন করে যাত্রী তুলতেন চালকরা। তাই তখন প্রকৃত ভাড়ার থেকে পাঁচ টাকা করে বেশি নেওয়া হতো। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ওইসব বিধিনিষেধ উধাও হয়ে গিয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে এখন অটোয় আগের মতো গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হচ্ছে। কিন্তু ভাড়া অতিরিক্ত ওই পাঁচ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় নিত্যযাত্রীরা প্রশ্ন তুলছেন।
এখন কোর্ট মোড় বা হাসমিচক থেকে সিটি সেন্টার, মেডিক্যাল মোড় পর্যন্ত সিটি অটোর যাত্রী ভাড়া ২০ টাকা। কোর্টমোড় থেকে চম্পাসারি পর্যন্ত ১৫ টাকা। চম্পাসারি থেকে এনজেপি স্টেশন ২৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিক্ষেত্রেই বাড়তি পাঁচ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। নিজস্ব চিত্র