কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সোমবার শহরে তৃণমূলের যুব সংগঠনের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে বামফ্রন্ট পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভার সঙ্গে বঞ্চনা নিয়ে অশোকবাবুর আনা অভিযোগ উড়িয়ে দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিকে, গত পাঁচ বছরে রাজ্য যে বঞ্চনা করেছে তার প্রমাণে মঙ্গলবার পুর ভবনে নানা তথ্য তুলে ধরেন অশোকবাবু। প্রশাসক বোর্ডের তিন সদস্যকে পাশে বসিয়ে ববি হাকিমের ওই দাবি নস্যাৎ করার চেষ্টাও করেন তিনি।
এব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে অশোকবাবু এসব বলছেন। আমার সঙ্গে প্রোগ্রাম করতে গিয়ে হয়তো পার্টিতে বকা খেয়েছেন। সেই জন্য এখন উনি অন্য সুর গাইছেন। তবে বঞ্চনার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওঁদের জমানার দিকে তাকালে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
অশোকবাবু এদিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়ির প্রতি রাজ্য সরকারের যে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল সেটা তারা গত পাঁচ বছরে দেয়নি। প্রথম থেকেই বঞ্চনা ও বৈষম্যের অভিযোগ করে এসেছি। বিরোধী রাজনৈতিক দল করি বলে শুধুমাত্র সেজন্যই আমাদের অর্থনৈতিক অবরোধ করে রাখা হচ্ছে। শিলিগুড়ি চারটি দেশের সীমান্তে অবস্থিত, উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ শহর। এমন শহরকে রাজ্য সরকারের দিনের পর দিন বঞ্চনা, বৈষম্য করা উচিত হয়নি। এমনটা হলে দেশের ক্ষতি হবে।
তিনি আরও বলেন, রবিবার মন্ত্রীর সঙ্গে পানীয় জল, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন খাতে আমাদের অর্থ পাওনা আছে, সেটা নিয়েও বলেছি। বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে মন্ত্রী সেদিন কথা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অম্রুত সহ বড় প্রকল্পে গত পাঁচ বছরে রাজ্যে ছ’হাজার কোটি টাকার অনুমোদন হয়েছে। এদিন অশোকবাবু বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যাবে শিলিগুড়ি পুরসভা সবচেয়ে কম বরাদ্দ পেয়েছে। ২০১৭ সালে রাজ্যের নির্দেশেই আমরা তিনটি প্রকল্প চেয়ে আবেদন করি। পানীয় জলের জন্য ৩৯৪ কোটি ৫০ লক্ষ, ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ সিস্টেমের জন্য ৪১৫ কোটি ৪০ লক্ষ এবং বৃষ্টির জল নিষ্কাষণের জন্য ২৪৫ কোটি টাকা অর্থাৎ সব মিলিয়ে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বানিয়ে পাঠানো হয়েছিল। প্রকল্পগুলির ৫০ শতাংশ রাজ্য ও বাকি অর্ধেক কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি প্রকল্পও সরকার অনুমোদন দেয়নি। পার্কের উন্নয়নের জন্য মাত্র ৯০ লক্ষ টাকা মিলেছে। পাশাপশি তিনি এও বলেন, তবে মন্ত্রী কথা দিয়েছেন জিরো ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য ১৫০ কোটি টাকা দিচ্ছেন। ১৮ কোটি টাকায় কেএমডিএ’কে দিয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে কাজ করাবেন। এছাড়া আমাদের প্রাপ্তি আর কিছু হয়নি।
পানীয় জলের প্রকল্পের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী বছরে অম্রুত প্রকল্প থাকলে তাতে বরাদ্দ দেবেন। কিন্তু আগামী বছর আদৌ প্রকল্পটি থাকবে কি না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তাই জল প্রকল্প অনিশ্চিতই থাকল। আমরা অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কথা বারবার বলছি। কোন প্রকল্পে কোন পুরসভা কত টাকা পেয়েছে, তার শ্বেতপত্র সরকার প্রকাশ করুক। এদিন পুরসভায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রশাসক বোর্ডের তিন সদস্য মুন্সি নুরুল ইসলাম, শঙ্কর ঘোষ এবং মুকুল সেনগুপ্ত।