কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহ সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণব সামন্ত বলেন, আইহোর ভাঙন কবলিত এলাকায় এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকার বোল্ডার বাঁধাইয়ের প্রস্তাব ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই প্রস্তাবের অনুমোদন হয়ে যাবে। সেটা কবে হবে, কবে কাজ শুরু হবে, এসব এখনই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। আমরা আশাবাদী, বর্ষার অনেক আগেই এই কাজ শুরু হবে যাবে।
এদিকে, এলাকায় নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হবে জেনেও আইহোর ভাঙন কবলিত এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা খুব একটা আশ্বস্ত হচ্ছেন না। তাঁরা এখনও ভাঙন নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় বারবার ভাঙন রোধের কাজ করা হয়। কিন্তু কোনও কাজই বেশিদিন টেকে না। কিছুদিন পরেই আবার পাড় ভাঙতে শুরু করে। তাই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এবার ভালো করে কাজ করুক সেচ দপ্তর। যাতে সেই কাজ দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। ভাঙন সমস্যার হাত থেকে চিরতরে মুক্তি চাইছেন টাঙন পাড়ের বাসিন্দারা।
এদিকে সেচ দপ্তরের কর্তারা বলছেন, ওই এলাকার ভাঙন সমস্যা স্থায়ীভাবে মেটানো সমস্যাজনক। সেচ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ওই এলাকায় বারবার কেন ভাঙন হয়, তার কারণটা স্থানীয়দের আগে বুঝতে হবে। একেই নদী,তার উপর আবার নদী সংলগ্ন এলাকায় পুকুর রয়েছে। ওই জায়গার ভৌগোলিক অবস্থা একেবারেই শোচনীয় হয়ে রয়েছে। মাটি খুবই আলগা। তাতে আবার বালির ভাগ বেশি রয়েছে। সেজন্য মাটি শক্ত নয়। মাটির ধারণ ক্ষমতা একবারেই নেই। সেজন্যই এই সমস্যা হচ্ছে। ধস আটকানোর চেষ্টা করছে সেচ দপ্তর।
সম্প্রতি টাঙন নদীর ভাঙনে বাড়ির অংশ হারিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা মিত্র, টোটন দাসেরা। তাঁরা বলেন, ভাঙন নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত হয়ে রয়েছি। এর আগে আমাদের বাড়ির শৌচাগার নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। পাশের বাড়ির রান্নাঘর তলিয়ে গিয়েছে। মাটিও খুব আলগা হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে থাকতেই ভয় হয়। নতুন কাজ হচ্ছে খুব ভালো। কিন্তু ঠিক করে কাজ করুক সেচ দপ্তর। কাজ যেন স্থায়ী হয়। এর আগেও বহুবার কাজ হয়েছে। কিন্ত কিছুদিন পরেই তা ধসে গিয়েছে। এবারও যেন সেরকম না হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আইহোর এই এলাকায় ভাঙন সমস্যা নতুন নয়। সেচ দপ্তর থেকে ২০১৪ সালে ওই এলাকায় আইহো সেতু থেকে বুলবুলচণ্ডী সেতু পযর্ন্ত ভাঙন রোধের কাজ করেছিল। পরবর্তীতে আবার কিছু অংশে ধসে যায়। ২০১৫ সালে তা মেরামত করে দেওয়া হয়। ২০১৭সালে আবার ক্ষতি হয়। পরে অবশ্য তা ঠিক করে দেওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে ফের ধসতে শুরু করে। তারপর এবছর কয়েক মাস আগেই আবার কাজ করা হয়। আবারও ধস নামতে শুরু করেছে। গ্রামে মানুষের শৌচাগার থেকে রান্নাঘর- সব তলিয়ে যাচ্ছে।