বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, কালিয়াচক-৩ ব্লকে এই লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ওই ব্লকের অন্য জায়গাগুলিতে এবং হবিবপুর ব্লকেও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
জেলা ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কালিয়াচক-৩ ব্লকের পারদেওনাপুর-শোভাপুর এলাকায় ১.৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ৩০০ মিটার দীর্ঘ এলাকায় কাঁটাতার বসানোর জন্য ওই অধিগৃহীত জমি ব্যবহার করা হবে। ওই ব্লকেরই সবদলপুর এলাকায় ১.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় কাঁটাতার বসানোর জন্য ৯ একর জমি অধিগৃহীত হয়েছে বলেও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় শ’তিনেক পরিবার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে ওই জমি প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছে। এই জমিগুলির প্রায় পুরোটাই পতিত জমি হওয়ায় অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই জানিয়েছেন ওই দপ্তরের এক আধিকারিক।
একইসঙ্গে কালিয়াচক-৩ ব্লকের মিলিক সুলতানপুর এলাকাতেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসানোর জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব রয়েছে। ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মোট ২.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গা বরাবর কাঁটাতার বসানোর জন্য যে জমি প্রয়োজন, তার জন্য প্রয়োজনীয় নথি রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন করলে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও মালদহের হবিবপুর ব্লকের তিলাসন থেকে পান্নাপুর পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসাতে ২৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে।
যেসব এলাকায় দুই দেশের মধ্যে নদী বা জলসীমান্ত রয়েছে সেখানে নদী থেকে প্রায় ১৫০ গজ দূর থেকে কাঁটাতার বসানোর প্রস্তাব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিক বলেন, ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার পুরোপুরি বসানো হয়ে গেলে আন্তর্জাতিক পাচার সংক্রান্ত অপরাধ অনেকটাই কমবে বলে আমরা আশাবাদী। জলপথে গবাদি পশু পাচার রুখতেও তখন নজরদারি চালানো অনেক সোজা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও কাঁটাতার বসানোর বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
উল্লেখ্য, মালদহে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ১৭২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার কাঁটাতারহীন। এই সীমান্ত বরাবর প্রায় পাচারের চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসালে জালনোট থেকে মাদক, কফ সিরাপ থেকে স্মার্টফোন পাচারের মতো অপরাধ ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।