বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গাজোল হাসপাতালের সুপার অঞ্জন রায় বলেন, দু’বছর ধরে সিজার বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসক এবং সাপোর্ট স্টাফ না থাকায় তা চালু করা যাচ্ছে না। এছাড়াও হাসপাতালে অনেক সমস্যা রয়েছে। কাজে যোগ দেওয়ার পর আমি বেশকিছু সমস্যার সমাধান করেছি। বাকিগুলির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত গাজোল গ্রামীণ হাসপাতাল। হাসপাতালের কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। ফলে জমি জবরদখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাচীর না থাকায় রাতে অবাঞ্ছিত লোকজনের যাতায়াত বেড়েছে। হাসপাতালের কর্মী-আধিকারিকদের জন্য তৈরি আবাসন বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে সেখানে কেউ থাকতে চাইছেন না। অনেকেই বাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে থেকে যাতায়াত করে ডিউটি করতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতাল চত্বরের রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে পড়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই হাসপাতাল প্রাঙ্গণ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পরিকাঠামোর পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মী এবং চিকিৎসকের ঘাটতির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তর্বিভাগ বা ইনডোরে মাত্র ৩০টি বেড রয়েছে। অথচ সারা বছরই প্রায় ১০০ রোগী চিকিৎসাধীন থাকেন। আউটডোরে প্রতিদিন ৫০০ রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালের এক্স রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে খারাপ রয়েছে। এনিয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে হাসপাতালের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। বর্তমানে গুটিকয় জেনারেল ফিজিসিয়ান রোগী দেখেন। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের মালদহ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। স্থায়ী সাফাই কর্মী কম থাকায় হাসপাতাল চত্বর অপরিচ্ছন্ন থাকে বলে অভিযোগ। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীকেও অনেক সময় করণিকের কাজ করতে হয়।
প্রসঙ্গত, পরিকাঠামো এবং কর্মী সঙ্কটের পাশাপাশি মেডিক্যাল অফিসার ও আধিকারিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেও গাজোল হাসপাতাল চর্চায় থাকে। কিছুদিন আগে সুপারের অবর্তমানে তাঁর আবাসনে দু’জন কর্মী রোগী দেখছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় কয়েকজন মেডিক্যাল অফিসার জড়িত বলে সুপার অভিযোগ তোলেন। তাঁকে পরিকল্পনামাফিক ফাঁসানোর অভিযোগও সুপার তোলেন। ওই ঘটনায় জেলার স্বাস্থ্য মহলে শোরগোল পড়ে যায়।
হাসপাতাল সুপার বলেন, হাসপাতালের পুরানো ভবনটি বেহাল হয়ে পড়েছিল। সেটি সংস্কার করে কাজ চালানো হচ্ছে। তবে নতুন ভবনের প্রয়োজন। তা দ্রুত না হলে আগামী দিনে পরিষেবা প্রদানে সমস্যা হবে।