কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে বেসরকারি বাসে চেপে বালুরঘাট থেকে কলকাতা যাওয়ার ভাড়া ছিল প্রায় ৩৫০ টাকা। লকডাউনের সময় তো বাস চলাচল বন্ধই ছিল। পরে যখন আবার ধীর ধীরে বাস চলাচল শুরু হয়, তখন ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল ৪০০ টাকা। আনলক পর্বের শুরুর দিকে যাত্রী খুব একটা হচ্ছিল না। কিন্তু বর্তমানে কাজকর্ম প্রায় সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। কলকাতা যাওয়ার জন্য চাপও বেড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ভাড়া ৪৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এসি বাসে লকডাউনের আগে ৬০০ টাকায় কলকাতা যাওয়া যেত। সেই বাসে এখন কখনও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা, কখনও নেওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা। টিকিটের চাহিদা বুঝেই ঠিক করা হচ্ছে ভাড়া।
শিলিগুড়িগামী বাসেরও একই অবস্থা। আগে বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছতে ভাড়া গুণতে হতো ১৮০-২০০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। এছাড়া গাড়ি ভাড়া করে কলকাতা বা শিলিগুড়ি যেতে হলেও আগেকার তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
বালুরঘাটের বাসিন্দা রাজা কুণ্ডু বলেন, কোম্পানির কাজে প্রায়ই কলকাতায় ছুটতে হয়। এখন ট্রেন নেই। তাই একমাত্র ভরসা নাইট সার্ভিস বাস। কিন্তু বাসে এখন যেতে হলে প্রায় ১০০টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। তাই খুব সমস্যা হচ্ছে।
আরও এক যাত্রী টুকাই ঘোষ বলেন, কলকাতাগামী নাইট সার্ভিসের বাসগুলি চলছে, কিন্তু ভাড়া অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। অথচ করোনা ও লকডাউনের জন্য এখন অনেকেরই রুজি রোজগারে টান পড়েছে। এই সময় তো বাসের ভাড়া কম নেওয়া উচিত। এই বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি বাস মালিকদের ভাবা উচিত।
লং ডিসটেন্স নাইট সার্ভিস বাস সংগঠনের সম্পাদক গোপাল কুণ্ডু বলেন, এখনও আগের মতো ভিড় হচ্ছে না। শিলিগুড়ির বাসে তেমন যাত্রী হয় না। কলকাতার বাসের টিকিটের চাহিদা রয়েছে। তাই ভাড়া খানিকটা বেড়েছে। আমাদের খানিকটা লাভ না হলে আমরা কিভাবে বাস চালাব? অনলাইন অ্যাপগুলিতে একেক সময় একেক রকম ভাড়া দেখায়, কারণ, টিকিটের চাহিদা অনুযায়ী বাসের ভাড়া ওঠানামা করে।
শুধু তাই নয়, গাড়ি নিয়ে আগে কলকাতা যেতে হলে ৮-১০ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। কিন্তু এখন ১৩-১৫ হাজারের নীচে গাড়ি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। গাড়ি ভাড়া করে শিলিগুড়ি যেতে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকা লাগছে। সব ক্ষেত্রেই আগের থেকে ভাড়া বেড়েছে। এছাড়াও রায়গঞ্জ ও মালদহ যেতে হলেও ভাড়া গাড়িতে অন্তত ৫০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।