বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কালচিনির ওই নাবালিকাকে শ্রীনগর পুলিস উদ্ধার করে স্থানীয় একটি সরকারি হোমে রাখে। মেয়েটি কীভাবে শ্রীনগরে পাচার হয়েছিল তা জেলা প্রশাসন জানতে পারেনি। পাচার হওয়ার পর নাবালিকার পরিবারও মেয়ের খোঁজ করেনি। পুলিসের কাছেও কোনও নিখোঁজের ডায়েরি বা অভিযোগ হয়নি।
শ্রীনগরের ওই হোমে অসমেরও কিছু উদ্ধার হওয়া নাবালিকা ছিল। সম্প্রতি অসমের ওই নাবালিকাদের সঙ্গেই কালচিনির ওই মেয়েটিকেও গুয়াহাটিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে জেলায় খবর দেওয়া হয়। এরপর আলিপুরদুয়ার জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তর ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির একটি টিম চলতি মাসের ১৮ তারিখ গুয়াহাটি যায়। ১৯ তারিখ মেয়েটিকে কোচবিহারের শহিদ বন্দনা হোমে এনে রাখে।
আলিপুরদুয়ার জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ডোরা ভট্টাচার্য বলেন, উদ্ধার হওয়া নাবালিকার এখনও কাউন্সেলিং হয়নি। মেয়েটি শহিদ বন্দনা হোমেই থাকবে। আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে নারী পাচার রুখতে ও কর্মসংস্থানের জন্য ইউনিসেফের সহায়তায় মাদারিহাটের চারটি চা বাগানের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ সমাজকল্যাণ দপ্তর শুরু করেছে। যাতে বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাগানের গরিব শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। বাড়িতে থেকেই হাতের কাজ করতে পারেন। এতে তাঁদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। তাহলে আর কাজের জন্য ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে হবে না।
জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক তাপস মণ্ডল বলেন, মাদারিহাটের হান্টাপাড়া ও মুজনাই বাগানের তরুণ-তরুণীদের হাতের কাজের প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ওই ব্লকেরই বান্দাপানি ও লঙ্কাপাড়া চা বাগানে ডিসেম্বর মাস থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকেও। সমাজকল্যাণ দপ্তর জানিয়েছে, ড্রাইভিং, বিউটিশিয়ান, টেলারিং সহ বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মানব পাচার রুখতে বাগানে নজরদারিও চালানো হচ্ছে।