বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ব্যবসায়ীদের দাবি, তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার বৈঠক করে ময়নাগুড়িতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড গড়ার উদ্যোগ নিলেও এতদিনেও তা হয়নি। ফলে বাজারের আবর্জনা নদীর ধারে ফেলা হচ্ছে। ময়নাগুড়ির সেচদপ্তরের আধিকারিক সমীরকুমার বর্মন বলেন, নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। নদীকে রক্ষা করতে হলে বাসিন্দাদের সচেতন হতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করবে। তখন নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে সেতুতেও প্রভাব পড়তে পারে। ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, আমরা চাইছি প্রশাসন নদী বাঁচাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করুক। কেউ নদীতে বর্জ্য ফেললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। আমরা যেকোনও সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত। কোনও ব্যবসায়ী নদীতে বর্জ্য ফেললে এবং প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে আমরা সেই ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়াব না। জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, নদীতে নোংরা আবর্জনা, প্লাস্টিক ফেললে নদীতে যেসব জলজপ্রাণী থাকে তাদের ক্ষতি হয়। নদীয়ালি মাছ মরে যাবে। শুধু তাই নয়, নদীর পাড়ে নোংরা ফেললে নদীতে জল বাড়লে সেই নোংরা নদীতে মিশে যাবে। নদীতে প্লাস্টিক জমতে থাকলে তার নাব্যতা কমে যাবে। এতে নদী তার গতিপথও পরিবর্তন করতে পারে। তৃণমূল পরিচালিত ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান সজলকুমার বিশ্বাস বলেন, নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে ব্যবসায়ী সহ এলাকার মানুষকে একাধিকবার সচেতন করা হয়েছে। প্রচারও চালিয়েছি। কিন্তু অনেকেই কর্ণপাত করছেন না। তবে আমরা এর মধ্যেই ফের ব্যবসায়ী সমিতিকে নিয়ে আলোচনায় বসব।