বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের আবাসনগুলি এমনই বেহাল অবস্থায় ধুঁকছে দীর্ঘদিন ধরে। সংস্কারের অভাবে আবাসনগুলির এমনই অবস্থা, দেখলে মনে হবে কোনও ভুতুড়ে বাড়ি। এদিকে আবাসনগুলির বেহাল দশার কথা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরও। তবে অর্থাভাবেই সেগুলির সংস্কার করা যাচ্ছে না বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিএমওএইচ অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, সমস্যার কথা ঊর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের পাশেই ১১টি আবাসন রয়েছে। যার মধ্যে ছ’টি চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। বাকি পাঁচটি নার্সদের। কিন্তু বহু বছর হয়ে গেল সেগুলির সংস্কার করা হয় না। আবাসনের ভেতরে ও বাইরের দেওয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। মাঝেমধ্যেই ছাদের চাঙর ধসে পড়ে। বেশি বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে ভেতরে জল পড়ে। প্রায় সবকটি আবাসনের এমনই ভগ্নদশা।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঝাঁ চকচকে নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে বছর তিনেক আগে। তখন কেন আবাসনগুলির সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি? এই প্রশ্নও তুলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। বেহাল আবাসনের পাশাপাশি রয়েছে আরও একাধিক সমস্যা। সূত্রের খবর, হাসপাতালের চারপাশে গজিয়ে উঠেছে আগাছার জঙ্গল, বিষাক্ত পার্থেনিয়াম। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাটাতে হয় ডাক্তার ও নার্সদের। এছাড়া আবাসনের সীমানা পাঁচিল না থাকায় রাতে আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের। বিশেষ করে নার্সরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। আবাসনগুলিতে একাধিকবার চুরির ঘটনাও ঘটেছে। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, আবাসন সংস্কার সহ নানা বিষয়ে সমস্যার কথা ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চিকিত্সক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা অবশ্য প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। এক চিকিত্সক জানান, দিনরাত পরিশ্রমের পরে ঘরে ফিরে যে শান্তিতে বিশ্রাম নেব, তারও উপায় নেই।
জেলা পরিষদের নারী শিশু ও জনকল্যাণ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের আবাসনগুলির জরাজীর্ণ অবস্থা আমি নিজে দেখে এসেছি। সেগুলি বসবাসের উপযোগী নেই। তাঁদের সমস্যার কথা জেলা পরিষদের সভায় তোলা হবে।