পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ডালখোলা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সুভাষ গোস্বামী বলেন, ডালখোলা থানার অধীনে থাকা এলাকাগুলিকে নিয়ে নতুন ডালখোলা ব্লক তৈরির জন্য অনেকদিন আগেই রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে সেই কাগজও দিয়েছি। ডালখোলা ব্লক তৈরি হলে এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে।
বিজেপির ডালখোলা টাউন মণ্ডলের সভাপতি হরিমোহন মজুমদার বলেন, আমাদের দলে এই দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডালখোলাকে আলাদা ব্লক করার দাবিতে আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নেব। সেইসঙ্গে এই ইস্যুতে জনমত গঠনের জন্যও উদ্যোগ নেব।
কংগ্রেসের ডালখোলা শহর কমিটির সভাপতি আলতাব হুসেন বলেন, ইতিমধ্যেই থানা হয়েছে। এখন থানার এলাকা নিয়ে একটি ব্লক গঠিত হলে সকলের পক্ষেই সুবিধা। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পদক্ষেপ করা উচিত।
সিপিএমের ডালখোলা এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাম বিশ্বাস বলেন, ডালখোলা থানার অধীনে যেসব এলাকা রয়েছে, তার একটি অংশের বাসিন্দা গোয়ালপোখর-২ ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। অন্য অংশের বাসিন্দারা করণদিঘি ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। থানা সংক্রান্ত কোনও কাজে তাই এখানকার বাসিন্দাদের আসতে হয় ডালখোলায়। আর ব্লক অফিস সংক্রান্ত কোনও কাজে তাঁদের কখনও যেতে হয় করণদিঘিতে। কখনও যেতে হয় গোয়ালপোখর-২ বিডিও অফিসে। এতে মানুষের হয়রানি হচ্ছে। ডালখোলা আলাদা ব্লক হলে এই সমস্যা আর হতো না।
ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সপ্তর্ষি নাগ বলেন, আমি সদ্য দায়িত্ব পেয়েছি। এবিষয়ে কিছু জানা নেই। প্রয়োজনে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। কোনও প্রস্তাব পেলে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকেও ডালখোলায় আলাদা ব্লক হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। এখন প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সূর্যাপুর-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের থানার প্রয়োজনে ডালখোলায় ও ব্লক অফিসের কাজের প্রয়োজনে গোয়ালপোখর-২ বিডিও অফিসে যেতে হচ্ছে। বাজারগাঁও-১ ও ২, রানিগঞ্জ ও ডালখোলা পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের ব্লক অফিসের কাজের প্রয়োজনে করণদিঘিতে যেতে হচ্ছে। একইভাবে থানার আধিকারিকদেরও চাকুলিয়া ও করণদিঘি, এই দু’টি ব্লকের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এতে বাসিন্দাদের যেমন হয়রানি হচ্ছে, তেমনই প্রশাসনের কাজেও ব্যাঘাত হচ্ছে। ব্লক অফিস ও থানা একই জায়গায় থাকলে কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। গ্রামীণ এলাকা থেকে সদরে এসে একইদিনে দুই অফিসে প্রয়োজনীয় কাজ করা সম্ভব হয় বাসিন্দাদের পক্ষে। এছাড়া, ডালখোলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দুর্বল। সেখানে একটি মাত্র প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। ব্লকের দাবি পূরণ হলে এই এলাকায় ব্লক প্রাথমিক স্থাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হবে। তাতে বাসিন্দাদের সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সুবিধা হবে।