রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চাষিরা জানিয়েছেন, এলাকার বিভিন্ন মাঠে ধান কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। মাঠে গিয়ে দেখা যাচ্ছে কোথাও ধান গাছের পাতা লালচে হয়ে গিয়েছে। কোথাও গোড়া পচে গিয়েছে। আবার শিষ হলেও তাতে ফলন হয়নি। একবারে ধান কাটার শেষ মুহূর্তে এসে একাধিক রোগ হানা দেওয়ায় চাষিদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের ৯৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তারমধ্যে ২৫৮০ হেক্টর জমিতে ধান ধসার কবলে পড়েছে। পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকেরও একই অবস্থা। চাঁচল-১ ব্লক কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, ৯০০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ জমির ধানই ধসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাঁচল-১ ব্লকের কলিগ্রামের এক চাষি নাজিমুদ্দিন শেখ বলেন, ধানের শিষ বের হওয়ার আগেই গাছ শুকিয়ে গিয়েছে। পাতার উপরের অংশ হলুদ হয়ে গিয়েছে। পুরো জমিতেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। চাঁচল- ১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর দেব বলেন, ব্লকের বিভিন্ন মৌজায় ধসা রোগে আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পাশ্ববর্তী চাঁচল-২ ব্লকের বিভিন্ন মাঠেও ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। রতুয়া-১ ও ২ ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আমন ধান চাষ করা হয়। এখানে ধসার প্রকোপ শুরু হয়েছে। এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে এত পরিমাণ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চাষিরা কৃষি বিমার টাকা পাওয়া নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন। এলাকার বহু চাষি কৃষি ঋণ নিয়ে আমনের চাষ শুরু করেছিলেন। ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবেন তা নিয়ে চিন্তায় ঘুম ছুটে গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের হাজার হাজার চাষির। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা পলাশ সিদ্ধিয়া বলেন, যাঁরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আছেন তাঁরা সহজে কৃষি বিমার মধ্যে পড়ে যাবেন। ব্লকের ২৮ হাজার চাষি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি বিমার অন্তর্ভুক্ত আছেন। যারা গত বছরের বিমার টাকা পাননি আশা করছি তাঁরা অবিলম্বে পেয়ে যাবেন।
জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, এবছর চাঁচল মহকুমা জুড়ে আমন ধান ধসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যারা বাংলা শস্য বিমার আওতায় আছেন তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পান সেই বিমা কোম্পানিকে জানানো হয়েছে।