পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ডিসেম্বর মাস থেকেই গ্রামে গ্রামে ধান কিনতে ক্যাম্প করতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, বিগত বছরগুলির মতো এবার গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করবে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও সমবায় সমিতি। তারা সহায়কমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করবে। এবছর ধানের সহায়কমূল্য ১৮৬৮ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এই কাজ করার জন্য সমবায় সমিতি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী কুইন্টাল প্রতি ৩১ টাকা ২৫ পয়সা করে কমিশন পাবে। এ জন্য সমবায় সমিতি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
শিলিগুড়ি মহকুমায় কিষাণ মান্ডিতে বা কেন্দ্রীয় ক্রয় কেন্দ্রে সহায়কমূল্যে ধান কেনা অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মহকুমার খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি ও লিচুবাগান, এই তিনটি জায়গায় কেন্দ্রীয় ক্রয় কেন্দ্র (সিপিসি) চালু করা হয়েছে। ২ নভেম্বর থেকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে ধান কেনা হচ্ছে। এবার এখনও পর্যন্ত ধান কেনা হয়েছে প্রায় ১৭০০ মেট্রিক টন। শীঘ্রই স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও সমবায় সমিতি ধান সংগ্রহ করতে নামবে। তাদেরকে ধান কেনার অর্থও বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। গতবছর এখানে ১৬টি কৃষি সমবায় সমিতি এবং ১২টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ধান কেনার কাজে শামিল হয়। এবার এই কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার জন্য আবেদন করেছে আটটি সমবায় সমিতি এবং ১০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। আরও কিছু আবেদন পড়বে বলে আধিকারিকরা আশা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর। প্রশাসন সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি অনুসারে গ্রামে ও শহরের ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে খাদ্যসাথী প্রকল্পের ফর্ম বিলি করার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহু অফিসার ও কর্মীর পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এই অবস্থায় ওই কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত করতে শনিবার দপ্তরের জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা।
খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের শিলিগুড়ির এক আধিকারিক বলেন, শিলিগুড়ি মহকুমায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২২টি। শিলিগুড়ি পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ৪৭টি। সরকারি নির্দেশ অনুসারে, প্রথম রাউন্ডে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ক্যাম্প হবে ১-১১ ডিসেম্বর। কোভিড প্রোটোকল মেনে গ্রামে এবং শহরের বরো অফিসে ক্যাম্পগুলি করা হবে। ক্যাম্পগুলিতে দপ্তরের জেলা ও মহকুমা পর্যায়ের আধিকারিক সহ পরিদর্শকরা থাকবেন। তবে একদিনে একসঙ্গে একাধিক ক্যাম্পে হাজির থাকার মতো আধিকারিক ও কর্মীর সংখ্যা নেই। সেক্ষেত্রে বিডিও অফিসের কর্মচারীদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
কোচবিহার জেলার খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরেরও একই বক্তব্য। কোচবিহারের খাদ্য নিয়ামক দাওয়া ওয়াংগেল লামা বলেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির প্রথম পর্বের ক্যাম্পে খাদ্যসাথী প্রকল্পের আবেদনপত্র বিলি করা হবে। এ জন্য রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশমতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে বিডিও অফিসের সহযোগিতা নেওয়া হবে।