রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, ধান বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন করার পর কৃষকদের ফোন করে কবে তাঁরা ধান বিক্রি করতে আসবেন তা মেসেজ ও ফোনে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে অধিকাংশ কৃষকের অভিযোগ, তাঁদের কাছে কোনও ফোন বা মেসেজ কিছুই আসছে না। চাপে পড়ে ঋণ মেটাতে খোলা বাজারে ১৩৮০ টাকা কুইন্টাল দরে ধান বিক্রি করতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন। অথচ সরকার চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনছে কুইন্টাল প্রতি ১৮৬৮ টাকা দরে। খোলা বাজারে ধানের দাম না থাকার কারণে অনেকে আবার হাটে নিয়ে গিয়েও ধান ফেরত নিয়ে আসছেন। খাদ্যদপ্তরের তরফে যে প্রক্রিয়ায় ধান কেনা হচ্ছে তাতে কৃষকরা কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না। দ্রুত বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, আমাদের কাছে যে প্রকার নির্দেশ এসেছে সেই অনুযায়ী ধান কেনা চলছে। এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১৬১ জন কৃষক ধান বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তাঁদেরকে ফোন করে নিদিষ্ট দিন দেওয়া হচ্ছে। এপর্যন্ত মোট ৮৪২ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। আশা করছি এখন পর্যন্ত যত জন কৃষক রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাতে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ধান কেনা শেষ হয়ে যাবে। কৃষি প্রধান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তিন লক্ষের বেশি কৃষক রয়েছে। এবছর ৯৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা খাদ্যদপ্তরকে দেওয়া হয়েছে। জেলাজুড়ে ইতিমধ্যেই ধান কেনা শুরু করেছে খাদ্যদপ্তর। অভিযোগ, কৃষকরা মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ফেরত আসছেন। প্রচারের অভাবে ধান বিক্রির প্রক্রিয়া তাঁরা জানতে পারছেন না। ফলে জেলাজুড়ে লক্ষ লক্ষ কৃষক থাকলেও শুধুমাত্র দিনে ৪০০ জন কৃষক ধান বিক্রি করতে পারছেন। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১১৭০ জন কৃষককে ধান বিক্রির জন্য ফোন করা হয়েছে। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৮৪৫ জন কৃষক ধান বিক্রি করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, দিনে যদি ৪০০ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হয় তবে সবার কাছ থেকে ধান কিনতে দুই বছর পেরিয়ে যাবে। যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে বহু কৃষক সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।