বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
আজ, রবিবার বিকেলে কলকাতা থেকে বিমানে শিলিগুড়িতে আসবেন পুরমন্ত্রী। দলীয় সূত্রের খবর, শহরে পুরসভার উদ্যোগে গান্ধী মূর্তি বসানো নিয়ে দীর্ঘদিনের জট কাটিয়েছেন পুরমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই কাছারি রোডে পোস্ট অফিসের সামনে পুরসভা গান্ধীমূর্তি বসিয়েছে। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মূর্তি আবরণ উন্মোচন করা হবে। পুরসভার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই ওই অনুষ্ঠানে আসছেন পুরমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের পর তিনি দলের যুব সংগঠন আয়োজিত মিছিলে যোগ দেবেন। এ জন্য শহরের বাঘাযতীন পার্ক ময়দানে জমায়েত করা হবে। সেখান থেকে মিছিল কাছারি রোড, হাসমিচক হয়ে হিলকার্ট রোড দিয়ে জোড়া মহানন্দা সেতু পর্যন্ত যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি ও শিল্পনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিলে শামিল হবেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। মিছিল শেষে পুরমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে পারেন।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের অঘোষিত রাজধানী শহর শিলিগুড়ি ‘লালদুর্গ’ হিসেবেই পরিচিত। বর্তমানে এই দুর্গকে বিধানসভা ভোট পরিচালনার ভরকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে গেরুয়া বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা ভিনরাজ্যের নেতাদের নিয়ে এখানে দু’বার উত্তরবঙ্গ জোনের মিটিং করেছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর তারা উত্তরকন্যা অভিযান করবে। ওই কর্মসূচি পরিচালনা করবে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক কমিটি।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, গেরুয়া বাহিনীর আস্ফালনের জেরে ঘাসফুলের নেতা-কর্মীদের একাংশ কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অনেকের মধ্যে এখন গাছাড়া ভাব। তাছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার এই শহরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পুরমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মহামিছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। পদ্মবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পুরমন্ত্রীর ওই মিছিল স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।
তৃণমূলের নেতারা অবশ্য বলেন, এখানে পদ্ম শিবিরের তেমন অস্তিত্ব নেই। তাদের হুঙ্কার নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। লকডাউন পর্বে ওদের নেতারা ময়দানে ছিলেন না। ওরা কথা দিয়েও দার্জিলিং মোড়ের যানজট মেটাতে পারেনি। ফুলবাড়িতে বেহাল রাস্তা ওরা মেরামত করতে পারেনি। তাই ওদের অপপ্রচার নিয়ে ভাবছি না। এখানে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যথেষ্ট চনমনে রয়েছেন। পুরমন্ত্রীর মিছিলের পর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন বলেই আশা করছেন তৃণমূলের কর্মীসমর্থকেরা। ফাইল চিত্র