গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন মন্দির চত্বরে রাসচক্র বসানো, প্যান্ডেল সাজানো, প্রতিমা নির্মাণ, ফুলের কাজ সহ অন্যান্য কাজ দিনভর চলে। গেটে প্রবেশের জায়গায় বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। প্রবেশ গেট থেকে রাসচক্র ঘোরানোর জায়গা পর্যন্ত বৃত্তাকার চিহ্ন এঁকে দেওয়া হচ্ছে। ভক্তদের সেখানে দাঁড়িয়ে একেএকে রাসচক্র পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। তারপর মন্দিরের ভিতরে যাওয়া যাবে।
তবে এবার রাস উৎসবের দিনগুলিতে মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকবে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের গেট খোলা থাকবে। দর্শনার্থীরা পূর্বদিকের গেট দিয়ে ঢুকে পশ্চিম দিকের গেট দিয়ে বের হবেন। আজ, সন্ধ্যা ৬টায় পসার ভাঙা অনুষ্ঠান হবে। ৭টা ২৬ মিনিটে রাসযাত্রার পুজো শুরু হবে। ৯টা ১২ মিনিটে জেলাশাসক রাসচক্র ঘোরাবেন। তারআগে তিনি পুজোয় অংশ নেবেন। উৎসবের ক’দিন মদনমোহন মন্দিরের বারান্দায় থাকবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পুজো চলবে। বিকেল ৫টায় আরতি হবে। মন্দির চত্বরে কীর্তন, ভাগবৎপাঠ হবে। ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯টায় রাস উৎসব সমাপ্ত হবে। ১৪ ডিসেম্বর মদনমোহনের মূর্তি গর্ভগৃহে ফিরে যাবে।
অপরদিকে, দিনকয়েক আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল কোচবিহার ক্লাব ও টাউন হাইস্কুলের মাঠে হস্তশিল্প ও শিল্পমেলা হবে। এদিন সেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়েছে। দু’জায়গায় মেলা করলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে একজায়গাতেই মেলা হবে। কোচবিহার এমজেএন স্টেডিয়াম ময়দানে মেলাটি হবে বলে এদিন পুরসভা ও প্রশাসন জানিয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পুজো হবে। রাত ৯টা ১২ মিনিটে রাসচক্র ঘুরিয়ে উৎসবের সূচনা হবে। রাস উৎসব উপলক্ষে জেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মদনমোহনের আর্শীবাদে সকলে যাতে সুস্থ থাকি এই প্রার্থনা করব। যেসকল ভক্ত এখানে আসবেন তাঁদের অনুরোধ করব স্বাস্থ্যবিধি মানতে। মাস্ক পরতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রাসচক্র ঘোরানোর আগে-পরে, মন্দিরে ঢোকার সময় হাত স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।
কোচবিহারের মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায় বলেন, দু’জায়গায় মেলা হলে কিছু সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই এমজেএন স্টেডিয়ামেই শুধু শিল্পমেলা হবে। দু’সপ্তাহ মেলা চলবে। শিল্পমেলায় ১০৭টি স্টল থাকবে। সেখানে ১০টি সরকারি স্টল করা হচ্ছে। কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেন, টাউন হাইস্কুল ও কোচবিহার ক্লাবের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। দু’জায়গায় মেলা হলে সব ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট জায়গায় করতে হবে। এতে খরচ বাড়বে। সেই কারণে প্রশাসন ও পুলিসকে নিয়ে পুরসভার আলোচনা হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত বদল করে একজায়গায় মেলা করার বিষয়টি স্থির হয়। ৩ অথবা ৪ ডিসেম্বর থেকে মেলা বসবে। মেলা ১৫ দিন ধরে চলবে।