পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইংলিশবাজার থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, লটারির কাউন্টারগুলিতে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হতো। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। এক একজনের একাধিক কাউন্টার ছিল। তবে ওই চক্রের সঙ্গে বাইরের জেলার কারও যোগ পাওয়া যায়নি। মালিকদের সকলেই ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দা। আমাদের থানা এলাকায় কোনওভাবেই অনলাইন লটারির কারবার চলতে দেওয়া হবে না।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজার শহরের পিঁয়াজি মোড়, বাঁধরোড এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি অনলাইন লটারির কাউন্টার ছিল। মঙ্গলবার অভিযান চালানোর সময় বেশিরভাগ কাউন্টারেই কর্মীরা ছিল। পুলিস তাদের সঙ্গে লটারি খেলার জন্য কাউন্টারে যাওয়া কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই ঘটনায় কারবারের মাথা তথা কাউন্টারের মালিকরা অধরাই থেকে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের সম্পর্কেও পুলিস তথ্য জোগাড় করছে। তাদের উপর পুলিস নজর রাখবে। ফের কারবার শুরুর চেষ্টা করলে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে, ইংলিশবাজারে যখন এহেন কড়াকড়ি চলছে, তখন প্রতিবেশী পুরাতন মালদহ শহরে কিন্তু দিব্যি রমরমিয়ে চলছে অনলাইন লটারির কারবার। শহরে একসময় আড়ালে-আবডালে এই অবৈধ কারবার চলত। তবে প্রভাবশালীদের মদতে গত বছরখানেক ধরে প্রকাশ্যেই কারবার চলছে। শহরজুড়ে এই অবৈধ কারবারে খাটছে কোটি কোটি টাকা। ফুলে ফেঁপে উঠছে অসাধু কারবারিরা। পুলিস ও প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
মালদহের অ্যাডিশনাল এসপি (সদর) হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, অনলাইন জুয়ার কারবারের পেছনে প্রভাবশালীদের মদত রয়েছে কি না, তা এখনও আমাদের জানা নেই। সেটি তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। তবে অনলাইন লটারি নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক অভিযান চলছে। পুরাতন মালদহ শহরে একারবার চললে, সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অনলাইন জুয়া নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার। শহরের মঙ্গলবাড়ি, চৌরঙ্গী মোড়, বুলবুলি মোড় থেকে শুরু করে মীন ভবন সংলগ্ন এলাকা, মৌলপুর হাসপাতাল রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় রীতিমতো কাউন্টার খুলে এই খেলা চলছে। অনেকেই সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।
এমনই এক অনলাইন লটারির কারবারি জানায়, পুলিস অভিযান চালালেও কিছু হয় না। কয়েকদিন চুপচাপ থাকার পর আমরা আবার ব্যবসা শুরু করে দিই।