বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভবনের নিজস্ব জায়গাতেই ওই উৎসব ভবনটি তৈরি করা হবে। একতলা ভবনের জন্য আইএসজিপি প্রকল্পের ফান্ড থেকে ১৫ লক্ষ টাকার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। ভবনটির মধ্যে একটি বড় ঘর ও তিনটে ছোট ঘর তৈরি করা হবে। আপাতত একতলা ভবন বানালেও, ভবিষ্যতে দোতলা ভবন বানাবার পরিকল্পনা পঞ্চায়েতের রয়েছে। পাকুয়া এলাকার বাসিন্দাদের সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য উৎসব ভবনের অভাব রয়েছে। সেই কথা চিন্তা করেই ওই ভবন তৈরির কাজে হাত দিয়েছে পঞ্চায়েত। তাদের উদ্যোগে বানানো ওই উৎসব ভবনে কম খরচে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন বাসিন্দারা।
পাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা মজুমদার ঘোষ বলেন, পাকুয়ায় আমরা নানা জিনিসের অভাব অনুভব করেছি। তার মধ্যে অন্যতম হল এই উৎসব ভবন। আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি, অনুষ্ঠানের জন্য এলাকার মানুষের উৎসব ভবন খুব প্রয়োজন। তবে দেখতে হবে সেই ভবন যেন তাঁরা কম খরচে পান। এলাকায় কয়েকটি বেসরকারি লজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য ভাড়া দেন। তবে সকলের পক্ষে চড়া ভাড়া দিয়ে সেসব ভাড়া নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আমরা ওই উৎসব ভবন বানাবার উদ্যোগ নিয়েছি। আপাতত সেজন্য ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। এখন একতলা ভবন বানানো হবে। পরে যদি প্রয়োজন দেখা দেয় তবে দোতলা ভবন বানানো যেতে পারে।
এদিকে, এলাকায় এই খবর চাউর হতেই পাকুয়াজুড়ে খুশির হওয়া ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীর কথায়, বিয়ে ও যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান হলে প্রয়োজনে বেসরকারি লজ ভাড়া করতে হয়। সেজন্য লাখ খানেক টাকা লাগে। সকলের পক্ষে এতো মোটা টাকা খরচ করা অসম্ভব। পাকুয়াতে সরকারি ভাবে অনুষ্ঠান ভবন হলে বহু মানুষ খুব উপকৃত হবেন। পাকুয়া সদরের এক বাসিন্দা কৃষ্ণ সিংহ বলেন, এটা দারুণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠান ভবন হলে খুব কম খরচে সেটির সুবিধা নেওয়া যাবে। আমরা চাই, দ্রুত এর কাজ শুরু হোক।