সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: প্রচারের অভাব, সুফল বাংলার অধীনে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রির ব্যাপারে জানেই না শিলিগুড়ি শহরবাসী। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুফল বাংলার আলু থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই। এমন অবস্থায় আলু কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে গৃহস্থের। দাবি উঠছে, মাইকিং করে পাড়ায় পাড়ায় ভ্যান নিয়ে আলু বিক্রির। এ ব্যাপারে কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকরা অবশ্য জানিয়েছেন, সুফল বাংলার আওতাধীনে ২৫ টাকা কেজি দরে যে আলু বিক্রি হচ্ছে তা পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত এলাকায় স্টল বসছে। কোথাও ভ্রাম্যমান স্টলও আছে। যদিও শিলিগুড়ি শহরবাসীর অভিযোগ, প্রচার না থাকায় কোথায় স্টল বসছে তা তাঁরা জানতে পারছেন না। শিলিগুড়ির বাসিন্দা সুরজিৎ বর্মন বলেন, সুফল বাংলার পক্ষ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু কোথায় মিলছে জানি না। এ নিয়ে কোনও বিজ্ঞাপন চোখে পড়েনি। মাইকিংও কানে আসেনি। বাধ্য হয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামেই আলু কিনতে হচ্ছে।
দার্জিলিং জেলা কৃষি বিপণন আধিকারিক (প্রশাসনিক) অনিল শর্মা বলেন, জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টল আছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ওসব পরিচালনা করা হচ্ছে। শিলিগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেটে একটি স্থায়ী স্টল করা হয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম চত্বরে একটি স্থায়ী স্টল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, এতে ওই এলাকার মানুষের সুবিধা হবে। শিলিগুড়ি মহকুমা সহ শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও মিরিক পুরসভা এবং পাহাড়ে সব মিলিয়ে মোট ১৫টি জায়গা থেকে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। অধিকাংশ স্টলই ভ্রাম্যমান। সমতলের মহকুমা এলাকার কিছু স্টল বিডিও অফিস, পাড়ার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় করা হয়েছে। শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটে স্থায়ী স্টলটি সকাল ৭টা থেকেই খোলা থাকছে। কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে খবর, জেলার ওই ১৫টি স্টল থেকে দিনে গড়ে ৪০০ কুইন্টাল আলু বিক্রি হচ্ছে।  
আনলক পর্বে আচমকাই আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে খুচরো বাজারে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। আলু কিনতেই গৃহস্থের পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় কিছুটা সুরাহা দিতে উদ্যোগী হয় রাজ্য। সেই অনুযায়ী রাজ্যজুড়েই ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রি শুরু হয়।