পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
কৃষকদের স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর। তা এই জেলায় কার্যকরী করে তুলছে বালুরঘাটের মাঝিয়ানে অবস্থিত কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। মোবাইলে এসএমএসের পাশাপাশি ইমেলের মাধ্যমেও আবহাওয়ার খবর কৃষকদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্লকভিত্তিক আবহাওয়ার রিপোর্ট পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন জেলার চাষিরা। জেলাজুড়ে ইতিমধ্যেই প্রায় চার হাজার ৪২০ জন চাষি এই পরিষেবা পাচ্ছেন।
এবিষয়ে উত্তরবঙ্গ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ কেন্দ্রের নোডাল অফিসার জ্যোতির্ময় কারফর্মা বলেন, এই উদ্যোগের ফলে চাষিরা তাঁদের এলাকার আবহাওয়া সম্পর্কে আগাম তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন। কোন আবহাওয়ায় ফসল বাঁচাতে কি করতে হবে, তা জেনে যাচ্ছেন। যার ফলে ফসলের কম ক্ষতি হচ্ছে। মোবাইলে এই এসএমএস পেতে হলে চাষিদের মাঝিয়ান কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এসে মোবাইল নম্বর রেজিষ্ট্রেশন করাতে হবে। এখনও যারা রেজিষ্ট্রেশন করাননি, তাঁদের দ্রুত তা করে নিতে বলা হচ্ছে।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলাভিত্তিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রকাশ করা হতো। কিন্তু বিস্তীর্ণ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সব জায়গায় সব সময় একই রকম আবহাওয়া থাকে না। জেলার এক প্রান্তের আবহাওয়ার সঙ্গে আরেক প্রান্তের আবহাওয়ার অনেক সময়ই পার্থক্য হয়ে যায়। কোনও ব্লকে হয়ত বৃষ্টিপাত হল, আবার কোনও ব্লকে হয়ত হল না। জেলার সব ব্লকের জন্য একটিই পূর্বাভাস জারি করলে তা সব জায়গায় প্রযোজ্য হতো না। ফলে সমস্যায় পড়তেন চাষিরা। এই সমস্যা দূর করতেই মাঝিয়ান কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা আলাদা বুলেটিন প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি সেই তথ্য চাষিদের মোবাইলে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। এখন তা প্রতিটি ব্লক অফিস, জেলা অফিস, জেলা কৃষি অফিস ও ব্লক কৃষি অফিস সহ বিভিন্ন কৃষি সংগঠনগুলিকেও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে কৃষি পরামর্শও মিলছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর কৃষিপ্রধান জেলা। এই জেলায় ধান, গম, পাট সহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষ হয়। তবে চাষিরা জানান, অনেক সময় সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না করার জন্য বা সঠিক কৃষি পরামর্শ না পাওয়ার জন্য অনেক সব্জি নষ্ট হয়ে যায়।
তাতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। হিলি ব্লকের এক কৃষক অজিত সরকার বলেন, আগে অনেক সময় হয়তো জমিতে ওষুধ বা কীটনাশক দিতাম, তারপরে বৃষ্টিতে সব ধুয়ে চলে যেত। এখন আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ায় সেই মতো কাজ করছি। এছাড়া এখন তাপমাত্রা জানতে পারছি। শীতকালীন সব্জি চাষের ক্ষেত্রে নানা পরামর্শ পাচ্ছি।
বালুরঘাট ব্লকের আরেক কৃষক মৃত্যুঞ্জয় সরকার বলেন, মেঘলা আবহাওয়া ও কুয়াশায় সব্জির নানারকম রোগ দেখা যায়। সেসব নিয়ে আগেই জানতে পারছি। সেই মতো ওষুধ দিচ্ছি বা অন্যান্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেয়ে আমরা সত্যিই উপকৃত হচ্ছি।