কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সম্প্রতি নবরূপে সজ্জিত ওই পার্কটির উদ্বোধন করেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ওই পার্কটি বেহাল অবস্থায় পড়েছিল। এলাকার শিশুরা সেখানে খেলাধুলো ও অন্যান্য বিনোদনের জন্য যেতে পারছিল না। তাদের কথা মাথায় রেখেই পুরসভার তরফে ওই পার্কটি সংস্কার করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ২০০৫ সালে ওই পার্কটি তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে এলাকার শিশুদের খেলাধুলোর জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম ছিল। একটি ডাইনোসরের আকৃতির স্লিপ ছিল। খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে শিশুদের বসার জন্য কংক্রিটের বেঞ্চ ও তার উপর ছাতার ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যও প্রাতঃভ্রমণ বা সান্ধ্যভ্রমণের সুযোগ সুবিধা ছিল। পাশাপাশি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তিও বসানো ছিল সেখানে।
প্রথম প্রথম সেই পার্কে শিশু ও তাঁদের অভিভাবকদের পাশাপাশি এলাকার বয়স্ক ব্যক্তিরাও ভিড় করতেন। ধীরে ধীরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীরা জানান, গত প্রায় সাত বছর ধরে ওই স্লিপটি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়েছিল। তাতে আর চাপতে পারছিল না শিশুরা। ভেঙেচুড়ে গিয়েছিল বেঞ্চ। পার্কে বসানো রবীন্দ্রনাথের মূর্তিটির একাংশও ছিল ভাঙা। এছাড়া পার্ক চত্বর জুড়ে আগাছা, পোকামাকড়ের উৎপাতও বাড়ছিল। পার্কটির এমন ভগ্নদশা হয়ে পড়েছিল যে সেখানে আর বাড়ির ছোটদের পাঠাতে চাইতেন না অভিভাবকরা।
বছর দুয়েক আগে স্থানীয় কাউন্সিলর বিমলজ্যোতি সিনহা পুর কর্তৃপক্ষের কাছে পার্কটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ওই পার্কের সংস্কারের কাজ শুরু করে পুর কর্তৃপক্ষ। মাঝে লকডাউনের জন্য কাজ আটকে গিয়েছিল। সম্প্রতি তা শেষ হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, সংস্কারের পর ওই পার্কে আরও নতুন নতুন খেলার সরঞ্জাম বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাইনোসর সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় মডেলের সাতটি স্লিপ, দু’টি দোলনা সহ আরও নানা সরঞ্জাম বসানো হয়েছে। পাশাপাশি, পার্কে বসে সময় কাটানোর জন্য ১০টি কংক্রিট ও লোহার বেঞ্চ বসানো হয়েছে। কংক্রিটের ছাতা সহ একটি গোলাকৃতির বেঞ্চ বসানো হয়েছে। সেইসঙ্গে পার্ক চত্বরে এবার ব্রোঞ্জের তৈরি কবিগুরুর মূর্তি বসানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে পার্কের চারিদিক পাঁচিল ও লোহার গ্রিল দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রঙের এলইডি লাইটও বসানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অজয় দাস বলেন, এই এলাকায় ওই পার্কটিতে আগের বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিয়ে যেতাম। কিন্তু পরে অবস্থা এমন খারাপ হয়ে যায় যে তা আর খেলার যোগ্য ছিল না। এলাকার ছোটদের খেলার জায়গার অভাব দেখা দিয়েছিল। পুরসভা পার্কটি নতুন করে সাজিয়ে দেওয়ায় আমরা খুশি। ওই পার্কে গেলে শিশুদের মনোরঞ্জন হবে।