কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলার সমস্ত স্তরের বাসিন্দাদের বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে গত জুন মাস থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। জেলার যে জায়গায় যেমন ভূমির গঠন সেখানে সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। মূল উদ্দেশ্যই হল গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র বাসিন্দাদের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, জেলাশাসক মৌমিতা গোদরা বসু, পিএইচই’র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুস্মিতকুমার বাগচি সহ আধিকারিকরা।
এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের কাজ করতে হলে যেহেতু বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তা লাগবে তাই এদিন অন্যান্য কয়েকটি দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করা হয়েছে। আমরা দ্রুত টর্গেট পূরণ করতে চাই।
পিএইচই’র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ধ্রুবজ্যোতি রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ‘জলস্বপ্ন’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন। একে ফাংশনাল হাউসহোল্ড ট্যাপ কানেকশনও বলা হয়। এর মাধ্যমে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি নিঃশুল্ক পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। এদিন ডিস্ট্রিক্ট ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন মিশনের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে প্রকল্পের অগ্রগতি সর্ম্পকে পর্যালোচনা করা হয়।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে পরিস্রুত পানীয় জল পান তারজন্য মুখ্যমন্ত্রী ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করেছেন। এই কাজ জেলায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কাজের নানা দিক খতিয়ে দেখতে এবং শুরু হওয়া কাজকে আরও দ্রুত শেষ করতেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা জনপ্রতিনিধিরা সরকারি আধিকারিকদের এই প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবরকমভাবে সহযোগিতা করছি।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলায় ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প চলতি বছরের জুন মাস থেকে শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ১৫৯টি বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার টার্গেট রাখা হয়েছে। তারমধ্যে চলতি অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৬৭টি সংযোগ দেওয়া হবে। প্রতিদিনই এই সংযোগ দেওয়ার মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে।
এর মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, প্রাথমিক ও হাইস্কুলও রয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জায়গায় জায়গায় কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও চা বাগান, বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা সহ অন্যান্য জায়গাও এর আওতায় এসেছে। জেলার সমস্ত ব্লকেই প্রকল্পের কাজ চলছে। কোনও জায়গায় ওভারহেড ট্যাঙ্ক, ডিপ টিউবওয়েল, কমিউনিটি ট্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিস্রুত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছনো হচ্ছে।