পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন দুই নেতা আলোচনা সেরে সাংবাদিকদের সামনে আসেন। সেখানে রবিবাবু বলেন, বিজয়ার পর মিহিরবাবুর বাড়ি এসেছিলাম। তখন দেখা হয়নি। তাই এদিন কলকাতা থেকে ফিরেই মিহিরবাবুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমরা রাজনীতির মানুষ। তাই রাজনৈতিক কথাও হয়েছে। কার উপরে কার রাগ, ক্ষোভ রয়েছে তা নিয়ে এদিন কথাবার্তা হয়নি। অনেকেরই মনে ক্ষোভ-দুঃখ থাকতে পারে। সেটা বলে হাল্কা হতে পারেন। এতে দোষের কিছু নেই। আমরা চাইছি, মিহিরবাবু দলে ছিলেন, আছেন, থাকুন।
মিহিরবাবু বলেন, মন্ত্রী ও ভাই হিসেবে রবিবাবু শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছিলেন। ২২ বছর তৃণমূল দলের কাছ থেকে, রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে যে ন্যূনতম মর্যাদা পাওয়া উচিত ছিল, বিশেষত ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে সেই মর্যাদা এবং সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা পাইনি। হয়তো যোগ্যতা নেই। রবিবাবু আসার পর ওঁর সঙ্গে আলোচনা করলাম। আমার মনে হয়েছে জেলা ও রাজ্য স্তর থেকে আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই দলের কাছে আমি খুব প্রয়োজনীয় এটা ভাবলে বোকামি হবে। সে ক্ষেত্রে আমি যা আগে বলেছিলাম তা আজও বলছি, আগামী দিনেও বলব। আমি যা বলি তার থেকে পিছিয়ে আসি না।
কোচবিহারে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা মিহির গোস্বামী বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর থেকে দল কার্যত অস্বস্তিতে রয়েছে। ব্লক সভাপতি ঘোষণা হওয়ার পরেই মিহিরবাবু দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে নিজেকে অব্যহতি দেন। এরপরেই দলের জেলার শীর্ষ নেতারা যেমন মিহিরবাবুর বাড়ি গিয়েছেন, তেমনই সুযোগ বুঝে বিজেপি শিবিরও মিহিরবাবুকে দলে টানার কৌশল নিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দল মিহিরবাবুর ক্ষোভকে সামাল দিতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে দলে ধরে রাখার বার্তা দিতেই রবিবাবু মিহিরবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। কিন্তু মিহিরবাবু এদিনও তেমন কোনও সঙ্কেত না দেওয়ায় দলের অস্বস্তি জিইয়ে থাকল।