গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি শহরে গান্ধী মূর্তি বসানো নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না পুরসভার। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী গান্ধীমূর্তি বসানোর কাজ শুরু করেছিল পূর্তদপ্তরের জায়গায়। সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মদিনে মূর্তির আবরণ উন্মোচন করা হবে। সেইমতো মূর্তি বসানোর শহরের দু’টি জায়গাকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে পুরসভা। জায়গা দু’টি ছিল পূর্তদপ্তরের। পূর্তদপ্তর আপত্তি তোলায় সেই উদ্যোগ বন্ধ করতে হয় পুরসভাকে। তখনই পুর প্রশাসনকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন, জায়গা না পেলে মূর্তি বসানো যাবে না। বিষয়টি জানতে পেরে পূর্তদপ্তর ও শিলিগুড়ি পুরসভার মধ্যে ওই বিতর্কের অবসান ঘটাতে উদ্যোগী হন পুরদপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এব্যাপারে তিনি রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই জট কাটে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রের খবর, ওই কাজ শুরু করার জন্য শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এবং মূর্তি বসানোর জন্য খরচও পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্প থেকে দেবে বলে জানিয়ে দেয়। এরপর গত ৩ নভেম্বর পুরসভার নির্দেশেই পোস্টঅফিস মোড়ে নির্মিত মূর্তিটি ঢেকে রেখে বেদীতে বসানো হয়। শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে গড়ে ওঠা ওই মূর্তি ৩০ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই মতো মঙ্গলবার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য সহ প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম, পুর কমিশনার, একাধিক অফিসারও ইঞ্জিনিয়ার ওই মূর্তি পরিদর্শনে যান। তখনই তাঁদের নজরে আসে গান্ধীজির হাতের লাঠি বড় হয়ে গিয়েছে। তাঁর শরীর একটু ঝুঁকে থাকার দরকার ছিল। তা হয়নি। মূর্তির আরও দু’য়েকটি বিষয় নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পরিদর্শনের সময় শিল্পী সুশান্ত পালও ছিলেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, যে শিল্পীকে দিয়ে ওই মূর্তি বানানো হয়েছে তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুরসভার একটি টিমকে। সেই টিমেও গান্ধীমূর্তি বিশেষজ্ঞ শিল্পী সহ পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ছিলেন। প্রায় মাস দু’য়েক ধরে চলা ওই কাজ দেখার জন্য মাঝেমাঝেই শিল্পীর বাড়িতে যেতে হত ওই টিমকে। তাই যে ত্রুটির কথা এখন উঠছে, তা সময়ে কেন দেখা হয়নি? ওই শিল্পী অবশ্য বলছেন, মূর্তিটি ত্রুটিপূর্ণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠছে, গান্ধীজির মূর্তি কেমন হবে তা নিয়ে একটা কমিটি গড়া হলেও তারা কেন বিষয়গুলি দেখে নেয়নি। আরও জানা গিয়েছে, মূর্তি গড়ার আগে তার স্কেচ, উচ্চতা, দণ্ডায়মান অবস্থান কেমন হবে, সবই অ্যাপ্রুভ করেছিল ওই কমিটি। তাদের অনুমোদনের পরই ফাইবার দিয়ে মূর্তি গঠনের কাজ শুরু করা হয়। প্রায় এক কুইন্টাল ওজনের ওই মূর্তি গড়া চলাকালীনও মাঝেমধ্যেই শিল্পীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন ওই টিমের সদস্যরা। তখনও ওই ত্রুটির কথা ওঠেনি। এদিকে এদিনই প্রথম মূর্তি দেখতে অফিসারদের নিয়ে সেখানে হাজির হন অশোকবাবু। মূর্তি দেখে তাঁদেরও খটকা লাগে। পরে অশোকবাবু বলেন, মূর্তিতে একটু ত্রুটি রয়েছে। তা ঠিক করতে বলা হয়েছে। ৩০ তারিখ পুরমন্ত্রী ওই মূর্তি উদ্বোধন করবেন। পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, সাংসদ রাজু বিস্ত সহ পুরসভার কো-অর্ডিনেটরদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র