বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
যদিও বিধায়কের এমন মন্তব্যে দলেরই একাংশ আমল দিতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, সামনে বিধানসভা ভোট, সেই কারণে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন তিনি। ভোটের টিকিট নিশ্চিত করতেই শীতঘুম থেকে উঠেছেন। কেউ বলছেন, বিধায়ক কি তবে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন? যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর দাবি, তাঁরা যে টিম নিয়ে গত লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছেন, সেই টিম নিয়েই বিধানসভা ভোটে লড়বেন। বাইরের কোনও লোকের তাঁদের প্রয়োজন নেই। এদিকে সোমবার রাতের ওই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক ছড়াতেই মঙ্গলবার সেটি মুছে দেন বিধায়ক।
ফেসবুকে পোস্ট করার পাশাপাশি এদিন বিধায়ক আরও একবার বলেন, ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের তিনটি সাংগঠনিক ব্লক গঠন করা হয়েছে। এর ফলে কর্মীদের মধ্যেই বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সভাপতির নিজস্ব কোনও ক্ষমতা নেই। তিনি পিকের উপর ভরসা করে দল চালাচ্ছেন। পিকের জন্য দলের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
দলের ময়নাগুড়ির-৩ সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি বাবন পাল বলেন, অনন্তবাবু এবার বিধানসভা ভোটে টিকিট পাবে কি না সন্দেহ। তাই পিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে প্রচারে আসতে চাইছেন। দলে গুরুত্ব না পেলে অন্য দল যাতে গ্রহণ করে, তার জন্য রাস্তা করে রাখছেন। তবে এটা অস্বীকার করব না, আমরা সেভাবে কাজ করতে পারছি না। এ জন্য জেলা সভাপতি অনেকটাই দায়ী। পিকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, পদমতি-১, মাধবডাঙা-২, সাপ্টিবাড়ি ১ এবং ২ আমাকে দেখতে হবে। কিন্তু জেলা সভাপতি কিছু বলেননি।
২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে কোনও মন্তব্য করব না। ওঁকে দল প্রার্থী করতেই পারে। আমাদের বিশ্বাস, অনন্তবাবু ভোটে দাঁড়ালে জিতে আসবেন। দল ওঁকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও আমরা তাঁর পাশে থাকব। দলের হয়ে প্রচার করব।
এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণীকে টেলিফোন করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করব না। দলের জলপাইগুড়ি জেলা কো-অর্ডিনেটর চন্দন ভৌমিক বলেন, যিনি মন্তব্য করেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। ওঁর বক্তব্য নিয়ে আমরা দলের ভিতরে আলোচনা করব।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক চঞ্চল সরকার বলেন, অনেক তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমাদের দলের নীতি স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে এমন নেতা-কর্মীকে নেওয়া হবে। ফাইল চিত্র