বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, সুজাপুরের প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ কারখানাটিতে ইতিমধ্যেই ঘুরে গিয়েছে এসটিএফ, আইবি। ফরেন্সিক দল পরীক্ষা করছে। তাদের সকলেরই প্রাথমিক অনুমান যান্ত্রিক ত্রুটি বা বিক্রিয়ার কারণেই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়াও স্পষ্ট জানিয়েছেন, পুলিসের নিজস্ব তদন্তেও সুজাপুর কাণ্ডে কোনও অপরাধমূলক অভিসন্ধির সন্ধান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ফলে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে দুর্ঘটনা বা বিক্রিয়ার কারণে বিস্ফোরণের তত্ত্ব। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিকে পিছনে ফেলে তাই এবার নিহত ও আহতদের আরও বেশি ক্ষতিপূরণের দাবিটিকে সামনে এনে সরব হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস।
বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, আগে মানুষের ক্ষতিপূরণ চাই। রাজ্য সরকার যে অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে তা রীতিমতো প্রহসন। আমরা চাই রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবার পিছু এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিক। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ বা রাজস্থানের মতো রাজ্যে এই অঙ্কের ক্ষতিপূরণই দেওয়া হয়ে থাকে। জখমদেরও অন্তত ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। মৃতদের পরিবারকে মাসিক পেনশনও দেওয়া উচিত। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবিও থাকছে।
সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী বলেন, আমরা চাই মৃতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। জখমদের কমপক্ষে দুই লক্ষ টাকা করে দেওয়া হোক। রাজ্য সরকার যে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে তা যৎসামান্য। লকডাউনের কারণে ওই শ্রমিকদের পিঠ এমনিতেই দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। এখন তাঁদের আচমকা মৃত্যুতে ওই পরিবারগুলি চরম বিপদে পড়েছে। তাই পরিবারগুলিকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিসের তদন্তে আমাদের আস্থা রয়েছে। আমরা চাই ওই কারখানায় এত বড় বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ সামনে আসুক।
বিজেপি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা মুখ খুলেছে তৃণমূল। দলের মালদহ জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, বিজেপি ও কংগ্রেস সহ বিরোধীরা একটি দুর্ঘটনাকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে নেমে পড়েছে। তাদের মনে রাখতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষতিপূরণ শুধু ঘোষণাই করেননি। ওইদিনই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়ে পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছেন। দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। এর পিছনে অপরাধমূলক তত্ত্ব আমদানি করে আসলে সুজাপুরের মানুষকেই হেয় করছে বিরোধীরা। জখমদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।