গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কোচবিহারের ডিএফও সঞ্জিতকুমার সাহা বলেন, রসিকবিলে ঢোকার জন্য এখন থেকে অনলাইনেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এতে দূরবর্তী এলাকার পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। সেইসঙ্গে কাউন্টার থেকেও টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। রসিকবিলে বিড়াল প্রজাতির প্রাণী রাখার জন্য আলাদাভাবে জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। তারজন্য ই-টেন্ডার করা হয়েছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে আওয়ার জু অপশনে যেতে হবে। সেখানে ড্রপ ডাউন মেনুতে রসিকবিল মিনি জু লেখাটি পাওয়া যাবে। সেখানে গিয়ে ক্লিক করলে নির্দিষ্ট লিঙ্ক মিলবে। সেখান থেকে অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে। ফলে যেকোনও জায়গায় বসে এখানকার টিকিট অনলাইনে কাটা যাবে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই টিকিট কেটে পর্যটকরা এখানে আসতে পারবেন। বনদপ্তরের আশা, এরফলে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি জায়গা থেকে পর্যটকদের সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়বে।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে রসিকবিল পর্যটকদের জন্য বেশকিছু দিন বন্ধ ছিল। অক্টোবর মাস থেকে ফের এটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে জু অথরিটির গাইড লাইন মেনে স্যানিটাইজ করা, মাস্ক ব্যবহার সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। সেইসঙ্গে টিকিট কাটার লাইনে যাতে বেশি ভিড় না হয় সেইজন্য অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ১৫০ জনের মতো পর্যটক আসছেন।
এখানে এলে পর্যটকরা ঘড়িয়াল, লেপার্ড, জঙ্গলক্যাট, পাইথন প্রভৃতি বন্যজন্তু দেখতে পাবেন। শীতপড়তেই লেসার হুইসলিং ডাক সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে।
এখানে নতুন করে আরও লেসারক্যাট আনা হবে। সেইজন্য আলাদা করে খাঁচা বানানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বনদপ্তরের দাবি, লেসারক্যাট, ফিশিংক্যাট, মার্বেলক্যাট, লেপার্ডক্যাট প্রভৃতি বন্যপ্রাণী রয়েছে।
অনেক সময় মানুষ এসব প্রাণীকে ভয় পেয়ে মেরে ফেলে। কিন্তু এদের মানুষকে আক্রমণ করার প্রবণতা সেভাবে থাকে না। তাই বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়া ওসব প্রাণী খাঁচায় এনে রাখা হবে। ফাইল চিত্র