রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেস্তরাঁর আড়ালে রীতিমতো রমরম করে চলছে এধরনের কারবার। সেখানে ভিড় জমাচ্ছে যুবক-যুবতী, কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্কুলের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েরাও। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব চললেও কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায় না বলে অভিযোগ। যদিও পুলিসের দাবি, তারা সতর্ক রয়েছে। কড়া নজর রাখা হচ্ছে রেস্তরাঁগুলির উপর। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, এবিষয়ে চাঁচল থানার আইসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বিভিন্ন রেস্তরাঁ রীতিমতো কেবিন ভাড়া দিচ্ছে। ঘণ্টাপিছু রেট ধার্য করেছে তারা। বিশেষ করে অল্পবয়সীরা খাবার খাওয়ার নাম করে প্রকাশ্যে সকলের সামনেই রেস্তরাঁয় ঢুকছে। তারপর কেবিন ভাড়া নিয়ে অশালীন কাজকর্ম করছে বলে অভিযোগ। দুপুর থেকে বিকাল-সন্ধ্যা অবধি চলছে বহু ছেলেমেয়ের আনাগোনা। কলেজের ক্লাস বাদ দিয়ে, কখনও টিউশন বাঙ্ক করে চলে আসছে অল্পবয়সীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, চাঁচল সদরের তরলতলা এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় দীর্ঘদিন ধরেই এমন অশালীন কাজ চলছে। সেই হোটেলের মালিক আবার শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। ওই রেস্তরাঁয় সকাল ১০টা থেকেই যুগলরা আসতে শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। এমন ভিড় থাকে যে কার্যত কুপন সিস্টেম চালু করেছে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। কুপন হাতে নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়, কখন ঘরে ঢোকার পালা আসবে। খালি তরলতলার ওই রেস্তরাঁই নয়, স্থানীয় জীবন বিমা অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটি রেস্তরাঁতেও একই অবস্থা। সেখানকার কেবিনেও বেডরুমের মতো ব্যবস্থা রয়েছে বলে অভিযোগ।
চাঁচল-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আঞ্জারুল হক জনি, বিজেপির জেলা সম্পাদক তথা স্থানীয় বাসিন্দা দীপঙ্কর রাম, সিপিএমের শিক্ষক নেতা পার্থ সরকার প্রমুখ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় এধরনের অশালীন কাজ কী করে চলতে পারে? অবিলম্বে রেস্তরাঁয় ওই সব অবৈধ কাজকারবার বন্ধ করতে পুলিসকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি দেবব্রত সিংহ বলেন, রেস্তরাঁগুলির আশপাশেই কলেজ, দু’টি নামী স্কুল রয়েছে। ওই বিষয়টিও দেখা দরকার পুলিসের। এদিকে পুলিস জানিয়েছে, মালিকদের ডেকে বলা হয়েছে যে কেবিনের দরজা বন্ধ রাখা যাবে না। খোলামেলা জায়গায় খাবার খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে।