বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিন্হা বলেন, হাতি সহ অন্যান্য বন্যজন্তুর হামলায় মৃতদের পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ড পদে রাজ্য সরকার চাকরি দেবে। সেই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবার নবান্নে ওই তালিকা জমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে কবে চাকরি দেওয়া হবে সেটা রাজ্য স্থির করবে।
২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২০১১ সালকেই ভিত্তিবর্ষ করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যে বন্যজন্তুর হামলায় নিহদের পরিবারের সদস্যদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ন’বছরের মধ্যে রাজ্যে হাতি ও অন্যান্য বন্যজন্তুর হামলায় লোকালয়, চা বাগান ও বনবস্তি এলাকায় ৭৪৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গের ৪২৪ জন, বাকিরা দক্ষিণবঙ্গের।
বনদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, বন্যজন্তুর হামলায় রাজ্যে সর্বাধিক মানুষের প্রাণ হারানোর তালিকায় আছে গোরুমারা অভয়ারণ্য। উত্তরবঙ্গের এই অভয়ারণ্যে ন’বছরে মারা গিয়েছেন ১০৫ জন। তারপরেই রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া বন্যপ্রাণ বিভাগ। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৭ জন।
প্রসঙ্গত, হাতি বা অন্যান্য বন্যজন্তুর হামলায় কারও মৃত্যু হলে রাজ্য সরকার এখন মৃতের পরিবারকে চারলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়। মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপস্থিতিতে মৃতের পরিবারের লোককে দু’লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। বাকি দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হয় মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর।
সরকারি ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এবার বন্যজন্তুর হামলায় মৃতের পরিবারের একজন সদস্য হোমগার্ড পদে চাকরি পাচ্ছেন। ডুয়ার্সের চা বলয়ের ওয়াবিহাল মহল মনে করছে, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এটি একটি মাস্টার স্ট্রোক।
প্রধান মুখ্য বনপাল জানিয়েছেন, সম্প্রতি মেদিনীপুরে বন্যজন্তুর হামলায় নিহত একজনের পরিবারের একমহিলা সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্পেশাল হোমগার্ড পদে রাজ্য চাকরি দিয়েছে। বনদপ্তরের মাদারিহাটের রেঞ্জার রামিজ রোজার বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ওই তালিকা সংশ্লিষ্ট স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছি।