কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া মাদকের পরিমাণ মাত্র ৩৮৬ গ্রাম বলে জানিয়েছেন ইংলিশবাজার থানার ইন্সপেক্টর ইন চার্জ মদনমোহন রায়। তিনি বলেন, সরাসরি শহর এলাকার ব্রাউন সুগার ব্যবহারকারীদের কাছে বিক্রির জন্যই ওই মাদক আনা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ইংলিশবাজার থানার জাতীয় সড়ক লাগোয়া গৌড়কন্যা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকেই মাদক সহ ওই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইসি, সেকেন্ড অফিসার কাজল দাস ও সাব ইনসপেক্টর আনসারুল হক নির্দিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাল পাতেন ওই এলাকায়। বমাল গ্রেপ্তার করা হয় কালিয়াচকের শেরশাহি এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল শেখকে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে ওই মাদকের উৎস ও অন্যান্য কারবারিদের নাম জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান আইসি।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, গত দেড় বছরে যেভাবে মাদকের কারবার রুখতে জাল পেতেছে পুলিস, তাতে মাদক ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও কৌশল পাল্টেছে বলে আমাদের ধারণা। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে মাদক বহন না করে ছোট প্যাকেটে ব্রাউন সুগার জাতীয় মাদক বহন করছে তারা। সরাসরি ব্রাউন সুগার ব্যবহারকারীদের কাছে ওই মাদক পৌঁছে দিতে পারলে মোটা লাভ করা যায়। তাই এই ধরনের ছক।
উল্লেখ্য, আফিমজাত মাদক পাচারের ক্ষেত্রে মালদহের নাম বারবার উঠে এসেছে। গত দেড় বছরে অবশ্য মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে জেলা পুলিস। ব্রাউন সুগার, নেশার ট্যাবলেট, আফিমের আঠা ও গাঁজা উৎপাদন ও পাচার ঠেকানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে জেলা পুলিস। বিশেষত কালিয়াচক, মোথাবাড়ি, বৈষ্ণবনগর থানা এলাকা থেকে বেশি পরিমাণে মাদক পাচারের একাধিক ছক বানচাল করেছে পুলিস। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে।
তবে ইদানীং পুলিসের নজরে এসেছে অনেক কম পরিমাণে জেলার এক অংশ থেকে অন্যত্র সরবরাহ করা হচ্ছে মাদক। বিশেষ করে সম্প্রতি জেলা সদর শহরে একাধিকবার মাদক পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে।
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, অল্প বা বেশি, যে কোনও পরিমাণে মাদক পাচার, সরবরাহ ও বিক্রি রুখতে একইরকম তৎপর পুলিস। সেজন্যই ঘনঘন মাদক উদ্ধার হচ্ছে। গ্রেপ্তারিও সম্ভব হচ্ছে।