কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ময়নাগুড়ি ব্লক কৃষিদপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণা রায় বলেন, হঠাৎ করেই জলঢাকা নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় চর এলাকার কৃষি জমিতে জল দাঁড়িয়ে পড়ে। সেই জল প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল। কয়েকদিন আগেই এসব জমিতে আলুর বীজ বপন করা হয়েছিল। সবেমাত্র বীজ থেকে গাছ বের হচ্ছিল। সমস্ত আলুর বীজে পচন দেখা দিয়েছে। এতে রামশাই এলাকায় ৫০০ বিঘা জমির আলুর চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের একটি টিম ওই এলাকায় গিয়েছে, চাষিদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা কৃষকদের হাতে ছত্রাকনাশক, ব্যাকটেরিয়ানাশক ওষুধ দিয়েছেন। আমাদের কেপিএসরা ওই এলাকায় নজর রাখছেন। তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে তেমন কিছু বলতে পারব না। পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। রামশাই এলাকার কৃষক পীযূষ মজুমদার বলেন, হঠাৎ জল বেড়ে গিয়ে আমাদের যে এত বড় ক্ষতি হবে তা ভাবতে পারছি না। আমাদের এই কৃষিকাজের উপরেই সংসার চলে। আমি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ শুরু করেছি। প্রতি বছরের মতো এবছরেও পুজোর আগে আলুর বীজ বপন করেছি। কিন্তু সব কিছু শেষ হয়ে গেল। এই পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে আমার ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবার ফের নতুন করে চাষ করতে হবে। আমাদের খরচ দ্বিগুণ বেড়ে গেল। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে, মহাজনদের কাছ থেকে আলুর বীজ বাকি নিয়ে চাষ শুরু করেছি। পাশাপাশি আমার তিন বিঘা ফুলকপি এবং এক বিঘা জমির সিম গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা চাইছি সরকারিভাবে আর্থিক সাহায্য করা হোক।
আমগুড়ির বেতগারা এলাকার চাষি ভবেশ্বর রায় বলেন, আমারও পাঁচ বিঘা জমির আলু চাষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে পড়ায় বীজ পচতে শুরু করেছে। ফের নতুন করে চাষ করতে হবে। বর্তমানে আলুর বীজের যা দাম তাতে কোথা থেকে টাকা জোগাড় করব ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, এবার পুজোর সময় নিম্নচাপের সৃষ্টি হওয়ায় জলপাইগুড়ি জেলায় হাল্কা বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে জলস্ফীতি দেখা দেয়। এতেই চরের আলু জমিতে হাঁটু জল দাড়িয়ে যায়। ফলে আলু চাষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র