পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নিশীথবাবু এমপি হওয়ার পর দু’টি দুর্গাপুজো কেটে গিয়েছে। সেই সময় তাঁকে মিহিরবাবুর বাড়িতে বিজয়া করতে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে তাঁর উপস্থিতি নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে জেলার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে দু’দিন আগেই জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় মিহিরবাবুর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মিহিরবাবুর বাড়িতে নিশীথ প্রামাণিক এলেন। যদিও দুই নেতাই এই সাক্ষাৎকে বিজয়া দশমীর সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন। সেখানে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলে তাঁরা জানিয়েছেন। যদিও এ ঘটনায় তির্যক মন্তব্য করে পার্থবাবু গোটা বিষয়টিতে অন্যমাত্রা যোগ করেছেন।
মিহিরবাবু বলেন, নিশীথবাবু আমার বাড়িতে এসেছিলেন। বিজয়া দশমীর পর এই সাক্ষাৎ নেহাতই সৌজন্যমূলক ছিল। ওঁর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। এমপি বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমিও ওঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।
নিশীথবাবু বলেন, বাঙালির কৃষ্টি সংস্কৃতিতে দশমীর পর শুভেচ্ছা বিনিময়ের একটি বিষয় রয়েছে। সেই কারণেই আমি এদিন মিহিরবাবুর বাড়ি গিয়েছিলাম। ওঁর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। শুধুমাত্র মিহিরবাবুর বাড়িতেই কেন গেলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে নিশীথবাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মিহিরবাবুর সঙ্গে রাজনীতির বাইরেও একটা আন্তরিক সর্ম্পক রয়েছে। আমাদের দলে তিনি আসতে চাইলে তাঁকে সবসময়ই স্বাগত জানাব। তাঁর মতো একজন বর্ষীয়ান নেতা যদি আমাদের দলে আসেন, তাহলে দল সমৃদ্ধ হবে। তবে এদিন দেখা করার বিষয়টি রাজনীতির বাইরে ছিল।
পার্থবাবু বলেন, ওঁদের সাক্ষাৎ সৌজন্য সাক্ষাৎ হতেই পারে। তবে এমনটাও তো হতে পারে নিশীথবাবু আমাদের দলে আসার জন্য আমাদের দলের একজন বর্ষীয়ান নেতাকে মধ্যস্থতাকারী করেছেন!
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, বিজয়ার পর সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে কেউ কারও বড়িতে যেতেই পারেন। বিজেপি চেষ্টা করছে ঘোলাজলে মাছ ধরার। তবে তাদের ওই চেষ্টা সফল হবে না। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, এমপি কেন গিয়েছেন, কী করতে গিয়েছেন তা আমার জানা নেই। হয়তো বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে যেতে পারেন। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে যে কেউ কারও বাড়ি যেতেই পারেন। এরমধ্যে কোনও কিন্তু নেই। তবে কেউ আবার ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টাও করতে পারেন।
দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের সমস্ত সাংগঠনিক পর থেকে অব্যাহতি নেন মিহিরবাবু। এরপর কার্যত পিকের টিমকে তীব্র আক্রমণ করতেও তিনি পিছু হটেননি।
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মিহিরবাবুর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এবার নিশীথ প্রামাণিক সরাসরি মিহিরবাবুর বাড়ি পৌঁছে যাওয়ায় সেই আগুনে ঘি পড়ল বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।