কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার জয় টুডু অবশ্য বলেন, মাদক পাচারের প্রতিটি মামলা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই কারবার রুখতে পুলিস তৎপর। এ ব্যাপারে প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুজোর মধ্যে শিলিগুড়ি শহরে এক কেজি ব্রাউন সুগার সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে খৈরুল নেসা নামে এক মহিলা রয়েছে। শহরের গোয়ালাপট্টি এলাকায় ধৃতের বাড়ি। পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, একদা ধৃত মহিলার স্বামী মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করত। দীর্ঘদিন আগে সে গা ঢাকা দেয়। তখন থেকেই মাদক কারবার সামাল দিচ্ছিল ওই মহিলা। তার সঙ্গে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের মাদক কারবারিদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি থেকে সংগ্রহ করা ব্রাউন সুগার শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে পাচার করাই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। এর বাইরে স্থানীয় এলাকাতেও মাদকের পুরিয়া বিক্রি করত সে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সে নিজের কসরত ও দক্ষতায় এই কারবারে জায়গা করে নেয়। এই কারবারে সে ‘ভাবিজান’ হিসেবে পরিচিত। ধৃতকে জেরার পর পুলিস অফিসারদের একাংশ বলেন, সম্ভবত পুলিসের নজর ও ঝামেলা এড়াতেই ওই মহিলাকে মাদক কারবারে নামিয়েছে তার স্বামী। কারবার সামলানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার পর নিজের মতো করে একটি গ্যাং তৈরি করেছিল। গ্যাংয়ে শিলিগুড়ি ও মাটিগাড়া এলাকার কয়েকজন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ওই মহিলার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ফেরার। তার খোঁজ চলছে।
শুধু ওই মহিলা নন, গাঁজা ও ব্রাউন সুগারের কারবারে সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও মহিলা। গত ১ অক্টোবর ৬০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের মহিলা মর্জিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে প্রধাননগর থানার পুলিস। গত জুন মাসে গাঁজা সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দুই মহিলাকে প্রধাননগর থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে। এরপর গত ১৫ জুলাই মাটিগাড়া থানার পুলিস শিবমন্দির এলাকা থেকে এক কেজি ব্রাউন সুগার সহ পুষ্পা বেগম নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় এলাকার ধৃতের বাড়ি। ঘটনাগুলি তদন্ত করার পর পুলিস অফিসাররা বলেন, মহিলাদের দিয়ে মাদক পাচার সহজ। কারণ, শাড়ির আড়ালে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে তারা সহজে মাদক নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে। তাই ওই মহিলাদের মধ্যে অধিকাংশকে সহজে ধনী হওয়ার টোপ দিয়ে মাদক কারবারে নামিয়েছে ‘ড্রাগ প্যাডলাররা’। তাদের কেউ ৪-৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে। আবার কেউ কেউ টাকার নেশায় পুরুষদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে পরিচালনা করছে মাদক কারবার। পার্টনার হিসেবে পুরুষদের রাখলেও তারাই পাচারের গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করছে। নেটওয়ার্ক তৈরি থেকে ক্যারিয়ার, ক্রেতা ও বিক্রেতা সকলকে সামলাচ্ছে হাসিমুখে। এ ক্ষেত্রে তারা কাজে লাগাচ্ছে শারীরিক ভঙ্গিমা। এ জন্য তারা মক্ষ্মীরানি হিসেবে পরিচিত। প্রতীকী চিত্র