পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা শিক্ষাদপ্তরের ১২টি সার্কেল লেভেল রিসোর্স সেন্টারে (সিএলআরসি) বৃহস্পতিবার থেকে এই সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়। এদিন কুমারগ্রাম ও কুমারগ্রাম পূর্ব সিএলআরসি থেকে ওই ১২টি সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন গার্গী নার্জিনারি। এদিনের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুজিত সরকার সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা।
বিজেপি অবশ্য জেলায় এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালুর বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ভোটের আগে মানুষের মন পেতেই এই সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না।
চেয়ারপার্সন বলেন, রাজ্য সরকারের একটি আদর্শ প্রকল্প এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। এই কেন্দ্র থেকে জেলার সাধারণ মানুষ এখন থেকে নিখরচায় অনলাইনে যে কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি প্রকল্পের আবেদনের জন্য বাসিন্দাদের আর শহরে ক্যাফেতে যেতে হবে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ১২টি সিএলআরসি অফিসে দু’জন করে মোট ২৪ জন কম্পিউটার ডেটাএন্ট্রি অপারেটর থাকবেন। তাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে অনলাইনে দরখাস্ত করার কাজে সহায়তা করবেন। ওয়েবেলের মাধ্যমে খুব দ্রুত সবক’টি কেন্দ্রেই ডেটাএন্ট্রি অপারেটরদের নিয়োগ করা হবে।
সবুজসাথী, যুবশ্রী, কৃষকবন্ধু, পড়ুয়াদের স্কলারশিপ সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সুবিধা নিতে এতদিন মানুষকে শহরের ইন্টারনেট ক্যাফেতে গিয়ে পকেটের টাকা খরচ করে অনলাইনে আবেদন করতে হতো। তাতে টাকার সঙ্গে বাসিন্দাদের সময়েরও অপচয় হতো। করোনা আবহে জেলার প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দাদের আর শহরে গিয়ে টাকা খরচ করে এই আবেদন করতে হবে না। নিজেদের ব্লকে সংশিষ্ট সিএলআরসিতে থাকা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে বিনামূল্যেই বাসিন্দারা এবার সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।