পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকার মেখলিগঞ্জের মতো প্রান্তিক মহকুমার উন্নয়নের জন্য চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে। চ্যাংরাবান্ধা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গোটা মহকুমাকে উন্নয়ন পর্ষদের আওতায় নিয়ে আসা হয়। চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে মেখলিগঞ্জ মহকুমার ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও মেখলিগঞ্জ শহরের রাস্তাঘাট ও কালভার্ট বানানো, সৌন্দর্যায়ন সহ এখন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা হচ্ছে। চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র অধিকারী বলেন, আমি পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থায়ী অফিস তৈরির দাবি জানাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি তাতে সাড়া দেন। অফিস তৈরির জন্য জমি দেখে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের কাছে নথিপত্র পাঠাই। জমি হস্তান্তর করার কাজ প্রায় সম্পন্ন। পুজোর ছুটি মিটলেই আমাদের হাতে জমির নথি তুলে দেওয়ার কথা। জমি পেলেই স্থায়ী অফিস তৈরির কাজ শুরু করব। এই উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের পর স্থানীয় বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধানকে চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগদান করা প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশবাবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারম্যান করেন। পরেশবাবু পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পরই চ্যাংরাবান্ধায় থাকা বিডিও অফিসের একটি রুম নিয়ে সেখানে উন্নয়ন পর্ষদের অফিস বানিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ পেতে অসুবিধা হওয়ায় তা সরিয়ে বর্তমানে মেখলিগঞ্জ এসডিও অফিস ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই একটি রুমে অস্থায়ীভাবে কাজ চলছে। কিছুদিন আগেই স্থায়ী অফিসঘর তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে উন্নয়ন পর্ষদ জমি চায়। রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে জমি খুঁজতে বলে। চ্যাংরাবান্ধা বিডিও অফিসের উল্টোদিকে এশিয়ান হাইওয়ের পাশে জমি চিহ্নিত করা হয়। ওই জমিটি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অধীনে রয়েছে। উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমির যাবতীয় তথ্য রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে। পুজোর ছুটির পরই আগামী সপ্তাহে অফিস খুললেই জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে, এমনটাই আশা পর্ষদের চেয়ারম্যানের।