বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব ঘোষ বলেন, প্রশাসনের তরফে আমরা একাধিকবার বেআইনি রান্নার গ্যাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। বালুরঘাটের ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, পুলিস লাগাতার এই নিয়ে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গত এক বছরে কয়েকশো গ্যাসের সিলিন্ডার পুলিস উদ্ধার করেছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিস এব্যাপারে তৎপর রয়েছে।
বালুরঘাটের রান্নার গ্যাসের এক ডিলার সন্তোষ চৌধুরী বলেন, আমাদের নিয়ম রয়েছে সিলিন্ডার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার। কোনও এলাকায় যদি রাস্তা না থাকে তবে আমরা পৌঁছে দিতে পারি না। তবে জেলায় যে দালাল চক্র শুরু হয়েছে তাতে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। এতে আমারা কোনওভাবে জড়িত নই।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে পুলিসের তরফে বেশকিছু দিন ধরে বেআইনি গ্যাসের সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবস্যা নিয়ে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। ফলে গ্যাসের দালাল চক্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, ডিলারদের সঙ্গে দালালদের যোগসাজশ রয়েছে। দালালরা গ্রাম থেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার ডেলিভারি দেওয়ার নামে বই সংগ্রহ করে। সেই বই নিয়ে তারা নিজেদের টাকা লাগিয়ে ডিস্টিবিউটরদের কাছ থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার তুলে বাড়িতে মজুত করে। গ্রাহকদের যখন প্রয়োজন হয় সেই মতো দালালরা জোগান দেয়। গ্রাহকদের বই দিয়ে যে গ্যাস তোলা হয় তার ভর্তুকি তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। গ্রাহকদের প্রয়োজন মতো দালালরা গ্যাসের সরবরাহ করে থাকে। প্রতি সিলিন্ডার প্রতি গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়। এই চক্র জেলা জুড়ে চলছে।