কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইতিমধ্যেই জয়গাঁয় বিমল ঘনিষ্ঠ যুব মোর্চার সমর্থকরা গুরুংয়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তবে গুরুংয়ের এই ভোল বদলে বিধানসভা ভোটের আগে পাহাড়ের সঙ্গে ডুয়ার্সও ফের তপ্ত হবে কি না এ নিয়ে দোলাচলে রাজনৈতিক মহলের একংশ। কিন্তু গুরুংয়ের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে ডুয়ার্সে পাঁচটি বিধানসভা আসনে জোড়াফুল শিবির যে অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না তৃণমূল নেতারা। যদিও গুরুংয়ের এই সমর্থন বদলে আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপি না তৃণমূল, কার ফায়দা হবে তা সময়ই বলবে। কিন্তু গুরুংকে স্বাগত জানাতে ডুয়ার্সে তাঁর অনুগামীদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, বিমল এলে শক্তিবৃদ্ধি হবে ঠিকই, তবে এ ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বই নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে। ইতিমধ্যেই গুরুং ঘনিষ্ঠ বদ্রি দাজুর নেতৃত্বে যুব মোর্চার সমর্থকরা জয়গাঁয় সাংবাদিক বৈঠক করে গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। মাদারিহাটের বীরপাড়ায় গুরুং ঘনিষ্ঠ মোর্চার শ্যাম থাপা বলেন, আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য বিমল গুরুংকে স্বাগত জানানো। আমরা আশাবাদী, খুব তাড়াতাড়ি তিনি ডুয়ার্সে এসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে আমাদের এখন জোর প্রস্তুতি চলছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কালচিনি আসনে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন গুরুং ঘনিষ্ঠ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিশাল লামা। কিন্তু তারপরেও বিশালবাবু তৃণমূল প্রার্থী উইলসন চম্প্রমারির কাছে হেরে যান।
বিশালবাবু বলেন, গুরুং যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা খুবই সময়োপযোগী। গুরুংকে স্বাগত জানাতে কালচিনিতে আমরা প্রস্তুতি চালাচ্ছি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে নাগরাকাটা বিধানসভা আসনে মোর্চার সমর্থন পেয়েও হেরে যান বিজেপি প্রার্থী জন বারলা। যদিও তিনি এখন বিজেপির আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের এমপি। একইভাবে মোর্চার সমর্থন পেয়ে মালবাজার ও কুমারগ্রাম বিধানসভায় তৃণমূলের কাছে হেরে গিয়েছিল গেরুয়া বাহিনী। ব্যতিক্রম ছিল মাদারিহাট।
মাদারিহাট বিধানসভা আসনে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ককে কাজে লাগিয়ে জিতে যান বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, পাহাড়ে আন্দোলনের প্রভাব ডুয়ার্সে বিগত বিধানসভা ভোটে পড়েনি। কাজ করেনি আঞ্চলিকতা ও বিভেদের রাজনীতি। এবার যদি তৃণমূলের দিকেই গুরুংয়ের সমর্থন থাকে, তা হলে জোড়াফুল শিবির কতটা সুবিধা আদায় করতে পারে, সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।