গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মালদহের বিভিন্ন পুর-বাজারের খুচরো আনাজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময় থেকেই ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে এই আনাজের দাম। খুচরো ব্যবসায়ীদের অবশ্য বক্তব্য, উৎসবের মরশুমে অনেকেই একটু ভালোমন্দ খেয়ে থাকেন। ফলে চাহিদা বাড়ে পেঁয়াজের। আমিষ রান্নার ক্ষেত্রে এই আনাজ প্রায় অপরিহার্য হওয়ায় চাহিদাও এক লাফে বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক কারণে এবার উৎপাদন ও জোগানে বেশ কিছুটা ঘাটতি থাকার অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করেই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
ইংলিশবাজারের মকদুমপুরের বঙ্কিমচন্দ্র পুর-বাজারে আসা ক্রেতা সুরঞ্জন রায় বলেন, সাধারণত তিনদিন পরপর এক কেজি করে পেঁয়াজ কিনি। কিন্তু দাম ক্রমশ বাড়ছে দেখে এদিন দু’কেজি পেঁয়াজ নিয়ে নিলাম।
ইংলিশবাজার রেগুলেটেড মার্কেট ভেজিটেবল কমিশনিং এজেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজকুমার প্রসাদ বলেন, এবার পেঁয়াজের উৎপাদন ও জোগান সত্যিই চাহিদার চেয়ে অনেকটা কম। তবে বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ। সেই পেঁয়াজের অনেকটাই স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়েছে। আগে মুর্শিদাবাদ থেকে সুখসাগর পেঁয়াজের জোগান খানিকটা এসেছিল জেলায়। তাই তখন পেঁয়াজের দাম খুচরো বাজারে ৫০ টাকা প্রতি কেজি ছিল। কিন্তু তার স্টক ফুরিয়ে এসেছে। তাই আবার দাম বাড়ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, বিভিন্ন রাজ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারে দাম ধীরে ধীরে নামছে। পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে এগচ্ছে। এই ধারা বজায় থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফের ৫০ থেকে ৫৫ টাকা প্রতি কেজিতে ফিরবে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দর। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটেও এদিন ৮০ টাকা দরে বিকিয়েছে পেঁয়াজ। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে অবশ্য দাম একটু কমই ছিল। সেখানে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। প্রতীকী চিত্র