কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিস সুপার মৃত রেলকর্মীর প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কিছু কথা বলেন। পুলিস আধিকারিকরা কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও। হনুমান ওরফে হনুমন্ত রাই (৫৯) কাদের সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা বলতেন বা ওঠাবসা করতেন তা নিয়েও খোঁজখবর করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুলিস সুপার।
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, তদন্ত চলছে। কিছু সূত্র হাতে এসেছে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কারণে এই খুন হয়ে থাকতে পারে। তবে অন্যান্য দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজন ব্যক্তিকে আমরা ইতিমধ্যেই আটক করেছি। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যায় ইংলিশবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের রেল কলোনির একটি কোয়ার্টারে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই রেলকর্মীকে। প্রতিবেশী সাধনাদেবী বলেন, এমনিতে হাসিখুশি থাকতেন ওই প্রৌঢ়। প্রতিবেশী ও পরিচিতদের বিভিন্নভাবে সাহায্যও করতেন। কিন্তু তাঁর এইরকম মর্মান্তিক মৃত্যু হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। মৃত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গলা টিপে ধরা হলেও অনেক সময় রক্তপাত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির শরীরে রক্তের দাগ থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এছাড়াও তাঁকে প্রায় নগ্ন অবস্থায় ফেলে দুষ্কৃতীরা পালায় বলে জানতে পেরেছে পুলিস। প্রশ্ন উঠছে এখানেই। শ্বাসরোধ করে খুন করা হলে তাঁকে নগ্ন করে ফেলে রাখা হল কেন? ইে প্রশ্নের কিন্তু এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। ইংলিশবাজার থানার ইন্সপেক্টর ইন চার্জ মদনমোহন রায় বলেন, এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ওই যুবক অন্য এক রেলকর্মীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনই এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। ওই ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক পুলিস আধিকারিক বলেন, প্রয়োজনে কেউ কেউ ওই রেলকর্মীর কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিতেন বলে কিছু সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে খুনের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির শারীরিক গঠন ছিল যথেষ্ট মজবুত। একা তাঁকে কাবু করা সহজে সম্ভব নয়। তাই একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন পুলিসকর্তারা।
স্থানীয় ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা ইংলিশবাজার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, পুলিস সঠিক তদন্তই করছে বলে আমরা আশাবাদী। দ্রুত দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হলে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন।