বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে বালুরঘাট শহরের হিলি মোড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিস। সেখানেই চুরির সামগ্রী সহ তিনজনকে তারা গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অলোক দাস, মিঠুন দাস ও আরমান আলি। অলোক ও মিঠুন স্থানীয় বাসিন্দা। অলোকের বাড়ি হিলির বৈকুণ্ঠপুরে। মিঠুনের বাড়ি মথুরাপুরে। আর আরমানের বাড়ি বাংলাদেশের সৈয়দপুরে। পুলিস ধৃতদের কাছ থেকে সোনা, রুপোর সামগ্রী সহ তিনটি টোটো উদ্ধার করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, শুধুমাত্র বালুরঘাট নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে আরমানের সঙ্গে একাধিক চোরের যোগাযোগ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তালা খোলার কাজে ডাক পড়ত তার। সেজন্য অবশ্য উপযুক্ত পারিশ্রমিকও নিত সে। অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছিল আরমান। আগেও এসেছে। ডাক পড়লেই আসত। জটিল তালা খোলার কৌশল সে কাউকেই শেখাত না। তবে কোন তালা খুললে কত টাকার সামগ্রী চুরি করা যাবে, সেই বুঝে নিজের দর হাঁকত সে। ওই তিনজনকে ধরার পরে পুলিস এখন চক্রের বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে। এর পাণ্ডা কে, খোঁজ চলছে তারও। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস চুরির সামগ্রী সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে এক জনের বাড়ি বাংলাদেশে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের ওই নাগরিকের নাম আরমান আলি। সে অবৈধভাবে এপারে এসেছিল। তাকে মূলত তালা ভাঙার কাজে ব্যবহার করা হতো। ধৃতদের সঙ্গে এই কাজে আরও অনেকে জড়িত। পুলিস তাদের খোঁজ শুরু করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাট শহরের পাশাপাশি জেলাজুড়ে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। সম্প্রতি যে চুরিগুলি ঘটেছে, সেগুলিতে সূক্ষ্মভাবে তালা খোলার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এধরনের কাণ্ড দেখে টনক নড়ে পুলিসেরও। তারা ব্যাপারটি নিয়ে খোঁজ করতে শুরু করে। শেষমেষ হদিশ মেলে এই আরমানের। জানা গিয়েছে, সে কোনও নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। জেলাজুড়ে বিভিন্ন গ্যাংয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। বড় অপারেশন করতে হলে দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে জানিয়ে দিত আরমানকে। ওদিকে খবর পেয়ে বিএসএফের চোখ এড়িয়ে আরমান চলে আসত এপারে। বাইক থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের শক্তিশালী তালা—আরমানের কাছে সেসব ভাঙা ছিল জলভাত। সম্প্রতি গঙ্গারামপুরেও একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেসবের সঙ্গেও আরমান জড়িত কি না, সেব্যাপারে খোঁজখবর চালাচ্ছে পুলিস।