রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন পার্থবাবু কিছুক্ষণ মিহিরবাবুর বাড়িতে থাকেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে কিছু কথাবার্তাও হয়। তিনদিন পরে আবার মিহিরবাবুর সঙ্গে দেখা করবেন বলে পার্থবাবু জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ও ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই মিহিরবাবু দলের সব সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। সেইসময়ও পার্থবাবু তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। কিন্তু মিহিরবাবুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। এরপর বেশ কয়েকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। দলের অন্দরমহল সূত্রে খবর, পার্থবাবু সভাপতির পদে বসার পর থেকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার সামনে আসছে। এরই মাঝে মিহিরবাবু সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর অব্যাহতির কথা ঘোষণার পর থেকে দল যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পরবর্তীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানেও মিহিরবাবু অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি সেইসময় কলকাতায় ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিজয়া দশমীর পর মিহিরবাবুর সঙ্গে দেখা করলেন পার্থবাবু। এই সাক্ষাতের পর মিহিরবাবুর পূর্ব ঘোষণার কোনও পরিবর্তন হয় কি না, তিনি সংগঠনের কাজে সক্রিয় হন কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
পার্থবাবু বলেন, আমি প্রতি বছরই মিহিরবাবুর বাড়িতে বিজয়ার প্রণাম করতে যাই। এবারও গিয়েছি। এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে আমার যা বক্তব্য তা আমি তাঁকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তাঁকে সবসময় আমাদের সঙ্গে অভিভাবকের মতো থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। কোনও সমস্যা নেই। তাঁর সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হয়েছে।
মিহিরবাবু বলেন, বিজয়ার পর পার্থবাবু আমার বাড়ি এসেছিলেন। তিনি আমাকে প্রণাম করেছেন। আমি তাঁকে প্রাণভরে আর্শীবাদ করেছি। এদিন কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। তিনি আবার আসবেন বলে জানিয়েছেন। আমার কাছে সবার জন্য দরজা খোলা রয়েছে।