বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোচবিহারের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, সমস্ত নিয়ম ও বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে সুষ্ঠুভাবে বড়দেবীর প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। মদন মোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, বড়দেবীর প্রতিমা এবারও একটি ট্রলির উপরে তৈরি করা হয়েছিল। অন্যান্য বছর সাধারণ মানুষ সেই ট্রলি টেনে বিসর্জনের জন্য দিঘির ঘাটে নিয়ে যান। করোনার কারণে এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই আগে থেকেই ২০ জনকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই প্রতিমা বিসর্জনের কাজে হাত দেন। ট্রাক্টরের সাহায্যে প্রতিমা লম্বা দিঘি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।
কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বড়দেবীর পুজোকে ঘিরে জেলাবাসীর ভাবাবেগ জড়িত রয়েছে। কোচবিহারের মহারাজাদের আমল থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। পুজোর দিনগুলিতে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন। প্রতিমা নির্মাণ, পুজোর রীতি, বলি, গুপ্তপুজো, নিশিপুজো সহ আরও বহু কিছু এই পুজোকে ভিন্নমাত্রা দেয়। এখানকার প্রতিমাতেও বিশেষত্ব রয়েছে। শুধু পুজোই নয়, এই প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও বেশকিছু প্রচলিত রীতি বহুকাল ধরে হয়ে আসছে। কোচবিহার শহরের দেবীবাড়ি এলাকায় বড়দেবীর মন্দির অবস্থিত। সেই মন্দিরে ময়নাকাঠ দিয়ে প্রতিমার কাঠামো নির্মাণ করা হয়। সেই কাঠামোর উপরে মণ্ডপের অন্দরেই একটি ট্রলির উপরে বিরাট আকারের প্রতিমা নির্মাণ করা হয়। পুজোর দিনগুলিতে পুজো হয়। এরপর দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এবার সোমবার দশমীর দিন সকালে বড়দেবীর প্রতিমা মণ্ডপ থেকে বের করা হয়। সেখান থেকেই মন্দিরের অদূরে অবস্থিত লম্বা দিঘির পাড়ে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানেই নিয়ম মেনে প্রতিমা বিসর্জন হয়।