কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সোমবার বিকেল থেকেই মালদহের মিশন ঘাট, সদরঘাট, মঙ্গলবাড়ি প্রথম সেতু, ব্রিজপাড়া সহ বিভিন্ন নদীঘাটে বিসর্জন চলে। মহানন্দা নদীতে স্পিডবোটের মাধ্যমে নজরদারি চালান পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা। ঘাটে ঘাটে বিসর্জন পর্ব ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সেদিকটিও খতিয়ে দেখেন পুলিস আধিকারিকরা। রাতে একাধিক নদীঘাট পরিদর্শন করেন জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার (আইন শৃঙ্খলা) শুভতোষ সরকার। পুরাতন মালদহ পুরসভার তরফেও নৌকা এবং স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। তাঁরা বিসর্জনে আগতদের সাহায্য করেন। পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষ বলেন, বিসর্জনের জন্য পুরসভার তরফ থেকে সব ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার শুভতোষ সরকার বলেন, বিজয়া দশমীর দিন থেকে বিসর্জন চলছে। বিভিন্ন নদীঘাটে আমরা নজরদারি করছি। বুধবারও আমরা সতর্ক থাকব।
পুলিস ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে ও সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখেই বিসর্জন দেওয়া হয়েছে বালুরঘাট শহরেও। দু’দিন মিলিয়ে বালুরঘাট শহরের আত্রেয়ীর সদরঘাটে ৯০টিরও বেশি প্রতিমার নিরঞ্জন হয়। তবে এই সংখ্যাটা গতবছরের তুলনায় অর্ধেক বলে জানা গিয়েছে। বিসর্জন ঘিরে বালুরঘাট পুরসভার তরফে ঘাটটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। দুর্ঘটনা রোধে নদীর পাড় বরাবর বাঁশ লাগিয়ে দেওয়া হয়। ক্রেনের সাহায্যে নদী বক্ষ থেকে কাঠামো তোলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, দশমীর সন্ধ্যা থেকেই ভিড় এড়াতে কল্যাণীঘাটের মুখে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত, অতিরিক্ত পুলিস সুপার মহম্মদ নাসিব, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার ধীমান মিত্র সহ অন্য আধিকারিকরা। এছাড়াও নিজে নদীর ঘাটে উপস্থিত থেকে তদারকি করেন বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখ্যোপাধ্যায়
বিশ্বরঞ্জনবাবু বলেন, সুষ্ঠুভাবে এবছর প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্পিডবোটে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা নজরদারি চালিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর সদরঘাটে সাধারণের প্রবেশ অবাধ থাকে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার ক্লাব পিছু মাত্র ১০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সোমবার দুপুর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত প্রায় ৮০টি প্রতিমার নিরঞ্জন হয়। মঙ্গলবার ১০টির বেশি প্রতিমার নিরঞ্জন হয়।
এদিকে, কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় ও রায়গঞ্জ পুরসভার সহযোগিতায় সোমবার দুপুর থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়ে যায় রায়গঞ্জের বিভিন্ন নদী ঘাটগুলিতে। তবে জেলা সদরের কুলিক নদীর বন্দর ঘাট ও খরমুজা ঘাটেই বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বন্দর ঘাটে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস, রায়গঞ্জ থানার ওসি সুরয থাপা সহ অন্যান্য পুর প্রতিনিধি এবং পুলিস আধিকারিকরা। দুটি ঘাটেই রায়গঞ্জ পুরসভার পক্ষ থেকে প্রচুর ঘাট সহায়ক নিয়োগ করা হয়েছিল। ব্যাপক পুলিস প্রহরা থাকায় নদীর ঘাটের সামনে সাধারণ মানুষকে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। ছিল স্পিডকোটের ব্যবস্থাও।
সন্দীপবাবু বলেন, করোনার কারণে এবছর দুটি নদী ঘাটেই মেলার আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘাট চত্বরে সাধারণ মানুষের আসা যাওয়ায় নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।