পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা শিবু দাস, লালন মাহাত বলেন, আমরা বড় কয়েকটি কাঠামো আটকে রেখেছি। ওসব থেকে বাঁশ, কাঠ খুলে নিয়ে বাড়ির বেড়া দেব। পুরসভা নদীবক্ষ থেকে কাঠামো তুলে না নিলে মৎস্যজীবীদের সমস্যায় পড়তে হবে। জলের নীচে বাঁশ পড়ে থাকালে নদীতে স্নান করতে নামলে চোটআঘাত লাগবে। একইসঙ্গে খড়, লাইলন, প্লাস্টিক, কাপড় নদীর দূষণ ঘটাবে। এতে নদীয়ালি মাছের উপরেও তার প্রভাব পড়তে পারে। মৎস্যজীবীরা বলেন, নদীতে জাল ফেলে কাঠামোয় জাল আটকে যায়। একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের কোচবিহার আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, মাথাভাঙা পুরসভা নদীদূষণ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নদীর ধরে শহরের বর্জ্য জমা করা হচ্ছে। প্রতিমা বির্সজনের কাঠামো তুলে না ফেললে ওসব পচে তা থেকে দূষণ ছড়াতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পুরসভাকে আরও সদর্থক ভূমিক নিতে হবে।
মাথাভাঙা পুরসভা প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, সুটুঙ্গাতে বির্সজনের পর কাঠামো তুলে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাই। কিছু কাঠামো পড়ে থাকলে পরবর্তীতে পুরসভার শ্রমিকরা তুলে দেন। এবারে নদীতে জল বেশি থাকায় কিছু কাঠামো ভেসে গিয়েছে। জলে থাকা সমস্ত কাঠামো তুলে ফেলার জন্য কয়েকদিনের মধ্যে নদীতে শ্রমিক নামানো হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাথাভাঙা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় ছোটবড় মিলিয়ে ৪০টি বেশি দুর্গাপুজো হয়েছে। সবক’টি প্রতিমাই সুটুঙ্গা-মানসাই নদীর সঙ্গমস্থলের বির্সজন দেওয়া হয়েছে। নদীতে এবার জল বেশি থাকায় বির্সজনকে কেন্দ্র করে নৌকাবিহার শেষপর্যন্ত হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, অন্যান্য বছর বির্সজনের পর স্থানীয় বাসিন্দারা এসে কাঠামো তুলে নিয়ে যান। কিন্তু এবারে তাঁদের সেইঅর্থে দেখা যায়নি। ফলে অধিকাংশ ছোট, বড় কাঠামো নদীতে ডুবে গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র