বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মালদহের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য সময় তাঁরা কেজি প্রতি প্রায় দেড়শ’ টাকা দিয়ে ছানা কেনেন। কিন্তু পুজোর আগে সেই ছানার দাম বেড়ে হয়ে যায় প্রায় ২৫০ টাকা প্রতি কেজি। তাই বাধ্য হয়ে মিষ্টির দাম বাড়িয়েছেন তাঁরা। রসগোল্লা, কানসাট বা সন্দেশের মতো মিষ্টির ক্ষেত্রে কোথাও এক টাকা, কোথাও দু’টাকা করে দাম বেড়েছে।
তবে করোনার কোপ যে পুজোর বাজারের পাশাপাশি মিষ্টির বাজারেও পড়েছে, সেকথা একবাক্যে মেনে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা সদর ইংলিশবাজার শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ী শ্যামল কুণ্ডু বলেন, আমরা প্রতি বছরই বিজয়া উপলক্ষে কিছু স্পেশাল আইটেম বানাই। আকারে বড়, দাম বেশি, এমন মিষ্টিও বানাই। বিক্রিও হয়ে যায় সেসব। তবে এবছর আর সেটা করা সম্ভব হয়নি। কারণ লকডাউনের পর থেকে এখনও বিক্রিবাট্টা স্বাভাবিক হয়নি। তার উপরে ছানার দাম বেড়ে গিয়েছে। বিজয়ার মিষ্টি কিনতে লোক এলেও অন্যান্যবারের মতো ভিড় হচ্ছে না।
ইংলিশবাজার শহরেরই আরও এক মিষ্টির দোকানদার উৎপল ঘোষ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক বাস চলছে না। ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক হয়নি। তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এবছর দুর্গাপুজোর সময় শহরমুখী হননি। তাঁরা আমাদের ক্রেতাদের একটা বড় অংশ। করোনার ভয়ে অনেকেই বিজয়া করতে বের হচ্ছেন না। তাই আমাদের বিক্রি কমেছে। সাহস করে আর মিষ্টিতে নতুনত্ব আনিনি। ছানার দাম বাড়ায় চলতি মিষ্টিগুলির দামও বাড়াতে হয়েছে।
এদিকে মালদহ জেলা ছানা ও ক্ষীর সমিতির সভাপতি শঙ্কর ঘোষ কিন্তু বলছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, পুজোর দু’একদিন আগে ছানার দাম বেড়েছিল। তখন আমরা ২৪০ টাকা কেজি দরে ছানা বিক্রি করেছিলাম। সেসময় তাই হয়ত মিষ্টি বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু এখন তো ছানার দাম আবার কমে গিয়েছে। এখন ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ছানা। তাহলে তাঁরা দাম কমাচ্ছেন না কেন?
পুরাতন মালদহের বাসিন্দা সঞ্জীব বিশ্বাস বিজয়ার মিষ্টি কিনতে এসেছিলেন দোকানে। তিনি বলেন, হিসেব করে টাকা নিয়ে এসেছিলাম। দাম বাড়ায় মিষ্টি কম কিনতে হল।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে ভালোই ভিড় হয়। শহরের থানা মোড়, গৌড়ীয় মঠ, ডানলপ মোড়, বড়বাজার, উত্তমাশা সহ বিভিন্ন এলাকায় পরিচিত মিষ্টির দোকানে মানুষ ভিড় জমান। তবে করোনা পরিস্থিতিতে স্পেশাল আইটেম বানাবার দিকে খুব একটা ঝোঁকেননি মিষ্টি বিক্রেতারা। বাদাম বরফি, কাজু বরফি, বেসন বরফি, মোহনভোগ, রাজভোগ, লাড্ডু, সন্দেশ, কাঁচাগোল্লা, রসগোল্লা সহ নানা আইটেমের চাহিদা ছিল বেশি।
শহরের থানা মোড়ের এক দোকানদার পিংকু দাস বলেন, দশমীর পর মিষ্টির চাহিদা একটু বেশিই থাকে। সেই মতো আমরা বেশি করেই বানিয়েছিলাম। তবে দুপুরের মধ্যে মিষ্টি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, এক ক্রেতা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজয়া দশমীতে এবার সকলের বাড়িতে হয়তো যাওয়া হবে না। তবে একদম ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তো যেতেই হবে। তাই মিষ্টি কিনতে দোকানে এসেছি।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে মালদহের একটি দোকানে মিষ্টির সম্ভার। -িনজস্ব চিত্র