গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গাজোলে বড় বাজেটের দুর্গাপুজো হয় একাধিক। কিন্তু এতো বড় বাজেটের লক্ষ্মীপুজো কোথাও হয় না বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। বিগত ১২বছর ধরে গাজোলের বাসিন্দাদের জাঁকজমকপূর্ণ পুজো উপহার দিয়ে আসছেন ক্লাব সদস্যরা। কিন্তু করোনার জন্য এবার তা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, এই প্রথম ক্লাবের লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে কোনও থিম থাকছে না। তবে একবারেই নমো নমো করে পুজো হবে, তা কিন্তু নয়। এই পরিস্থিতির মধ্যেই তাঁরা দেড় লক্ষ টাকা বাজেটের পুজো উপহার দেবেন। বাইরে থেকে চাঁদা তোলার তুলনায় ক্লাব সদস্যদের নিজেদের দেওয়া আর্থিক অনুদানের উপর নির্ভর করেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। মণ্ডপের চারিদিকে ফুল ও ফুলগাছ দিয়ে সাজানো হবে। প্রতিমার আদল থাকবে অজন্তা শিল্পরীতির ধাঁচে। অন্যান্যবার এই লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে স্থানীয় স্কুলের মাঠে তিন দিন ধরে মেলা হয়। মেলার সঙ্গে সঙ্গে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। কিন্তু এবার সেই মেলার অনুমতি পাওয়া যায়নি। হবে না সেই অনুষ্ঠানও। তবে মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা পরিচালিত দু’একটি খাবারের দোকান থাকবে বলে জানিয়েছেন ক্লাব সদস্যরা।
আলালের ‘চলো পাল্টাই’ ক্লাবের সম্পাদক সুব্রত বর্মন বলেন, গত বছরও আমাদের লক্ষীপুজোর বাজেট ছিল প্রায় চার লক্ষ টাকা। এবার সেখানে মাত্র দেড় লক্ষ টাকায় সব আয়োজন করা হচ্ছে। এবার আমরা আগেই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে থিম পুজোর আয়োজন করব না। বেশি জাঁকজমক হচ্ছে না বলে মণ্ডপের কাজেও তেমন ব্যস্ততা নেই এবার। মেলা নিয়ে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। সেজন্য বড় করে মেলা বসতে দেওয়া হবে না। বাইরে থেকে নাগরদোলা বা বিভিন্ন দোকান আসতে দিচ্ছি না। কেবল স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অল্প সংখ্যক কয়েকটি দোকান বসাতে দেব।
ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, আমাদের লক্ষ্মীপুজো নিয়ে গাজোলের বাসিন্দাদের খুবই উৎসাহ থাকে। আমরা প্রতিবছরই দর্শনার্থীদের জন্য কিছু না কিছু চমকের ব্যবস্থা করি। কিন্তু এবার তেমন কিছু করতে না পারায় আমরা হতাশ। তবুও সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব, করছি। ফুল দিয়ে সাজানো মনোরম পরিবেশে দেবীর আরাধনা করা হবে। গ্রামীণ পরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপে।