পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোয় সংক্রমণ রুখতে বারবার স্বাস্থ্যদপ্তর পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক সেরেছে। মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী ও মহাষ্টমীতে ভিড় সেভাবে না থাকলেও পুজোর শেষলগ্নে মহানবমী ও দশমীতে জলপাইগুড়ি শহরে ভিড়ের ছবি অনেকটাই স্বাস্থ্যদপ্তরের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। শহরে প্রতিমা বিসর্জনে ভিড়ে লাগাম টানতে প্রশাসন তৎপর থাকলেও সেই অর্থে কিন্তু রাশ টানা যায়নি। শহরের বাবুঘাট, কিংসাহেবের ঘাট প্রভৃতি জায়গায় পুরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখান থেকে মাস্কও বিতরণ করা হয়েছিল। বিসর্জনে ভিড় এড়াতে এবারই জলপাইগুড়ি শহরের বাবুঘাটের ঐতিহ্যবাহী রাবণ বধ উৎসব বাতিল করা হয়। জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির পুকুরে দেবী বিসর্জন দেখতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য নিপু সাহা বলেন, বিসর্জনে ভিড় এড়াতে আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে তৎপর ছিলাম। শহরের ঘাটগুলিতে এ জন্য ক্যাম্প করা হয়েছিল। নিয়ম করে বিভিন্ন পুজো কমিটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা নিরঞ্জন করেছে। বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির বিসর্জনে জনসমাগম হয়েছিল ঠিকই, তবে মানুষের মধ্যে সচেতনার ছবি ধরা পড়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে বিসর্জনের আগে পরে ঘাটগুলি জীবাণুমুক্ত করে হয়েছে। পাশাপাশি বিসর্জনের পর জলাশয় থেকে কাঠামো তোলা ও আবর্জনা সরানোর কাজে আমরা জোর দিয়েছি। বিভিন্ন নদীঘাট প্রতিমা নিরঞ্জনের পরপরই পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।
বিজয়ায় বিষাদের সুরেও ভিড়ের জেরে করোনার আশঙ্কা দেখছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা। করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, পুজোর দিনগুলিতে স্বাস্থ্যদপ্তর জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। মহাষ্টমী পর্যন্ত ভিড় না থাকলেও মহানবমী ও দশমীতে ভিড়ের যে ছবি জলপাইগুড়িতে দেখা গিয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আগামী এক-দুই সপ্তাহে পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে পারে তা আন্দাজ করা যাচ্ছে না। ভিড়ের জেরে সংক্রমণ বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।