বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ‘বাংলার এই পবিত্র ভূমিতে আপনাদের মাঝে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি’। বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠীর শুভলগ্নে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিল্লি থেকে শিলিগুড়ির সেন্ট্রাল কলোনির পুজো মণ্ডপ দর্শন করে এভাবেই বাংলায় স্বাগত ভাষণ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখনই ঢাক বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি, বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে উপস্থিত সকলেই আপ্লুত হয়ে পড়েন। সেইসঙ্গে খুশি পুজো উদ্যোক্তারাও। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে সবুজ সংকেত মেলার পর সেন্ট্রাল কলোনি পুজো কমিটি জোর প্রস্তুতি শুরু করে। পুজো মণ্ডপ থেকে কয়েক মিটার দূরে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছিল। এছাড়াও অতিথি সহ দর্শনার্থীদের বসার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। বিধি মেনেই সমস্ত আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মণ্ডপ চত্বরে উন্মাদনা ছিল। বিধিকে পাশ কাটিয়ে অনেকে ভিড় করেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এদিন পুজো প্রাঙ্গণে ভিড় জমিয়েছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বসু ও শিলিগুড়ি জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সকাল ১০টা থেকেই মণ্ডপ চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন আমজনতা। সেখানে বিজেপি নেতৃত্বও উপস্থিত হন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারে বেলা ১২টা নাগাদ জায়ান্ট স্ক্রিনের পর্দায় ভেসে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখনই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে শুরু হয় উলুধ্বনি। বেজে ওঠে ঢাক। সেই ঢাকের তালে নাচতে দেখা যায় বিজেপি নেতৃত্বকে। সেইসঙ্গে উপস্থিত সকলের করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মণ্ডপ চত্বর। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, এটি সৃজনশীল চিন্তাধারা। এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী এভাবে জনসম্মুখে এসে শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন। আমরা অপ্লুত। অন্যদিকে পুজো কমিটির তরফে কাঞ্চন রায় বলেন, বেশ ভালো লাগছে। এটা আমাদের কাছে সৌভাগ্যের ও স্মরণীয় ঘটনা। আমরা যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করছি। সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলছি। তারপরও দর্শনার্থীদের কাছে আমাদের আবেদন এবার ঘরে বসে ভার্চুয়ালি পুজো দেখুন। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা সেন্ট্রাল কলোনি পুজো কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা গৌতম দেব বলেন, বলার কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন আগেই। উনি আবার করছেন। আমার কোনও বক্তব্য নেই। অন্যদিকে, মোদির ভার্চুয়াল পুজো পরিদর্শন প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, যাঁরা পুজো নিয়ে রাজনীতি করেন, তাঁদের সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন আর প্রধানমন্ত্রী যা করছেন তার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। পুজো উদ্বোধন বা ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া সবই ভোট রাজনীতি। প্রতীকী চিত্র
