পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বালুরঘাট শহরের বাজারগুলিতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গত সপ্তাহেও যে মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল, এদিন তার দাম এক ধাক্কায় হয়ে গিয়েছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি। ‘কুলীন’ ইলিশের পাশাপাশি পাবদা, কাতলা, রুই, মাগুর ইত্যাদি সব মাছেরই দাম অল্পবিস্তর চড়েছে। মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা ও পাঠার মাংসের দামও প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে। এদিন গোটা মুরগি ১৬০ টাকা দরে ও পাঠার মাংস ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে সবথেকে বড় লাফ দিয়েছে পেঁয়াজ। দু’দিনের মধ্যে ৪০ টাকা কেজি থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে তার দাম।
বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম খুব বাড়েনি। তবে কিছু কিছু সব্জি ও মাছ-মাংসের দাম গত দুই-একদিনের মধ্যে বেড়েছে। পুজোর মধ্যে বাইরে থেকে মাল আসবে না। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের স্টক ফুরিয়ে যেতে পারে। তাই আলু এবং পেঁয়াজের দাম আরও একটু বাড়তে পারে।
বালুরঘাটের এক সব্জি ব্যবসায়ী বিনয় মণ্ডল বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। পাইকারদের কাছ থেকে আমরা বেশি দামেই জিনিস কিনছি। মাছ ব্যবসায়ী সুবীর ঘোষ বলেন, ইলিশ মাছ সহ অন্যান্য কিছু মাছের দাম বেড়েছে। অনেকে কিনতে এসে দাম শুনে আঁতকে উঠছেন।
শহরের বাসিন্দা পলাশ সাহা বলেন, দুর্গাপুজো বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব। এই সময় খাওয়াদাওয়া জমিয়ে হয়। এবার বাইরে নাহয় বেরব না। তা বলে ভুরিভোজও কি বাদ দেব? ষষ্ঠীর সকালে বাজারে এসে যা দাম শুনছি, কিছুই তো কিনতে পারছি না।
এক মহিলা ক্রেতা সুপ্রিয়া সরকার বলেন, লকডাউনের পর থেকেই সব জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। পুজোর মধ্যে এভাবে চড়া দামে জিনিসপত্র কেনা আমাদের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এদিকে করোনা আবহে এবার বালুরঘাট শহরের হোটেল-রেস্তরাঁগুলি এবার খুব একটা ব্যবসার আশা করছে না। অন্যান্যবার পুজোর বাজার জমে উঠলেই সেখানে ভিড় শুরু হয়ে যায়। এবার গত কয়েকদিনে বাজার খানিক জমলেও বাইরের খাবার খেতে ভিড় হচ্ছে না তেমন। বাইরে খাওয়া কমিয়ে বাড়িতে যে পুজোর চারদিন ভালোমন্দ রেঁধে খাওয়া যাবে, সে সাধের গুড়েও বালি ঢালছে সাঙ্ঘাতিক দাম। এদিন বালুরঘাটের বাজারগুলিতে ইলিশ মাছ ১২০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে, পাবদা ৩০০-৫০০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, সব্জির মধ্যে আলু ৩৬ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, লঙ্কা ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।