গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরনো নিয়ম-নীতি মেনেই পরিবারের সদস্যরা দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের দানগ্রাম এলাকায় রয়েছে ওই জমিদারবাড়ি। কথিত আছে, দানগ্রামের জমিদার ঈশ্বর চৌধুরী গ্রামের মানুষদের পুজোর ক’টা দিন আনন্দ উৎসবে সামিল হওয়ার সুযোগ করে দিতেই পুজোর সূচনা করেছিলেন। ১৮৯৮ সালে ঈশ্বর চৌধুরীর হাত দিয়েই প্রথমবার পুজো হয় জমিদারবাড়িতে। করোনার কোপে এবছর সেই পুজোরই জৌলুস কমেছে। নমো নমো করে পুজো হবে। গ্রামবাসীদের পেট পুরে খাওয়ানোর ব্যবস্থাও থাকবে না। পরিবারের সদস্য সত্যব্রত চৌধুরী বলেন, আমাদের বাড়ির পুজো এবছর ১২২ বছরে পা রাখল। বাড়ির দুর্গাপুজো ঘিরে আমরা ছয়টি পরিবার একত্র হই। পরিবারের প্রায় সব সদস্যই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বাইরে থেকে শরিকরা এবারে গ্রামে পুজোতে আসতে পারছেন না।
অপরদিকে, হরিরামপুরেরই চক্রবর্তী বাড়ির পুজো এবার ১৮৮ বছরে পা রাখল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় লোকসংখ্যা বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পুজোর সংখ্যাও। আগে ওই পারিবারিক পুজোতেই এলাকার বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ত। চক্রবর্তী বাড়ির পুজোয় আর আগের মতো জৌলুস না থাকলেও, পুজোর নিয়মকানুনে এখনও ভাটা পড়েনি। পরিবারের লোকেরা নিয়ম করে সকলের মঙ্গল কামনায় দেবীর আরাধনা করেন। এখনও হরিরামপুরের বাসিন্দারা অন্তত একবারের জন্য হলেও চক্রবর্তী বাড়ির পুজো দেখতে যান। করোনা পরিস্থিতে সেই পুজোয় অষ্টমীতে স্যানিটাইজ করে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। প্রসাদ হিসেবে এবার আর কাটা ফল নয়, গোটা ফলের ব্যবস্থা রেখেছে চক্রবর্তী পরিবার।
চক্রবর্তী পরিবারের সদস্য উত্তম চক্রবর্তী বলেন, এখনও নিয়ম করে আমি নিজে মায়ের পুজো করি। বৈষ্ণবমতে আমরা দেবীর পুজো করি। এক কাঠামোতে দেবীর প্রতিমা তৈরি হয়। রীতি অনুযায়ী পঞ্চমী থেকেই আমরা পুজো শুরু করি। পুজোর পাঁচদিন দেবীকে স্বর্ণ অলঙ্কারে সাজানো হয়। সপ্তমীতে পঞ্চব্যাঞ্জন দিয়ে খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয়। অষ্টমীতে দেওয়া হয় মিষ্টান্ন, পায়েস ও লুচি। নবমীতে অন্নভোগ এবং দশমীতে দইখই ভোগ দেওয়া হয়। এবার আমরা কাউকে ভোগের প্রসাদ দেব না। তবে প্রসাদ হিসেবে গোটাফলের ব্যবস্থা রেখেছি।